Sunday, December 22, 2024

চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টানা ১৪ দিন

বিশেষ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় টানা ১৪ দিন ধরে তাপপ্রবাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জেলাজুড়ে বইছে তীব্র দাবদাহ। শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে সারাদেশের মধ্যে এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। গত দু’দিন তীব্র তাপদহের পর এদিন অতি তীব্র তাপদহ শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সহজে দেখা মিলছে না বৃষ্টির। এদিকে খরায় ঝরে যাচ্ছে আম-লিচুর গুটি। বোরো ধান, সবজি খেতে প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

কৃষক হাসান আলি বলেন, ৪ বিঘা জমিতে ধান, মিষ্টি কুমড়া, করলা ও তরমুজ চাষ করেছেন। গত ১৪ দিন ধরে তীব্র খরায় জমিতে সেচ দিতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে সেটাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে। সে হিসাবে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২১ এপ্রিলের পর থেকে তাপদহ কমতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, শহরের কিছু স্থানে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। তবে পিচ বেশি গলে গেলে খোয়াগুলো নরম হয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তেমন পর্যায়ে গেলে বা কেউ জানালে মেরামত করা হবে।

আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর