অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। যার পরিমাণ ৬৮ কোটি ডলার। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এই অর্থ ছাড় হয়।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত হয় দেশের অর্থনীতি। ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে বৃদ্ধি পায় জীবনযাত্রার ব্যয়। সেই সঙ্গে ডলার সংকটে গতি কমে আসে আমদানিতে। সংকটে পড়ে ব্যাংকিং খাতও।
নাজুক এই অবস্থায় অর্থনীতিকে সবল করতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেয় আইএমএফ। গত ফেব্রুয়ারিতে ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বুঝে পায় বাংলাদেশ। এদিন দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ডলার ছাড় পেলো।
ঋণের শর্ত হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে আর্থিক খাতের সংস্কারসহ নানা খাতে ১৯টি শর্ত বেঁধে দেয় আইএমএফ। যার আওতায় ছয়টি শর্ত বাস্তবায়ন করার কথা গেল জুনে। তথ্য বলছে, ৪টি শর্ত পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে রিজার্ভ আর রাজস্ব খাতে সফলতা দেখাতে পারেনি সরকার। নির্বাচনের পর এ বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নেয়া হবে।