স্পোর্টস ডেস্ক: টি-২০ ওয়ার্ল্ডকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ভরাডুবির মিছিলো যোগহল আরেকটি পালক। বরাবরের মতো আজও কোন প্রকার প্রতিরোধ প্রতিদ্বন্ধিতা ছাড়াই হার মানলো কাগুজে টাইগাররা। আজকের ম্যাচে সীমাহীন ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল । এমন ব্যর্থতার কোন অজুহাত নেই। বোলিংয়ে একটু ভালো করলেও হার এড়ানো যায়নি। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে ব্যর্থতার বলয়েই বাংলাদেশের বিদায় হলো। মূল পর্বের চতুর্থ ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ। মাত্র ৮৪ রানের পুঁজি নিয়ে আসলে লড়াই হয় না। যদিও শুরুতে আশার ছাপ রেখেছিলেন তাসকিনরা। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ছয় উইকেটের হারে এক ম্যাচ হাতে রেখে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজলো মাহমুদউল্লাহদের।
গাণিতিক যে হিসাব ছিল, তাও শেষ হলো এই ম্যাচে হারের মধ্য দিয়ে। শেষ ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, আগামী বৃহস্পতিবার। যে ম্যাচটি রূপ নিলো নিতান্তই আনুষ্ঠানিকতার।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) আবুধাবিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৪ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ১৩.৩ ওভারে। উইকেট পতন হয় মাত্র চারটি। এই জয়ে গ্রুপ ওয়ান থেকে সেমির দৌড়ে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
সহজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতে চেপে ধরে বাংলাদেশ। দলীয় ৬ রানে তাসকিনের আঘাত। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বল। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে বল সিম থেকে অনেকটা ভেতরে ঢোকে তীক্ষ্ণভাবে। হেনড্রিকেসের ডিফেন্স করার চেষ্টা হয় ব্যর্থ, বল লাগে প্যাডে। আঙুল তুলতে সময় নেননি আম্পায়ার। ৫ বলে ৪ রানে আউট হেনড্রিকস।
ডি কক ও ভ্যান ডার ডসন তাও এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দলীয় ২৮ রানের মাথায় মেহেদীর আঘাত। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারি। বোল্ড হয়ে যান ডি কক। দলীয় ২৮ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। ১৫ বলে তিন চারে ১৬ রান করেন কক। দলীয় ৩৩ রানে তাসকিনের আগুনে ডেলিভারি। শূন্য রানে ফেরেন ফর্মে থাকা এইডেন মারক্রাম। অফ স্টাম্পের বাইরে দারুণ লেংথে গতিময় ডেলিভারি করেন তাসকিন। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় স্লিপে, নাঈমের হাতে। এরপর অবশ্য আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি প্রোটিয়াদের।
এর আগে দলীয় ফিফটি করতেও ভীষণ লড়াই করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ১২.১ ওভারে পূর্ণ হয় পঞ্চাশ।
সপ্তম উইকেট জুটিতে উইকেটে টিকে থেকে রান তোলার চেষ্টা করেছেন মেহেদী হাসান ও বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তাতে খুব বেশি দুজন সফল, তা বলা যাবে না। তবে সবচেয়ে কম রানে অল আউট হওয়ার লজ্জা থেকে মুক্তি মিলেছে এই উইকেটে। বিশ্বকাপ অভিষেকে ২০ বলে ১১ রান করেন শামীম। শামসির বলে তিনি আউট হন মাহারাজের ক্যাচে।
Leave a Reply