নিউজ ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? তাদের তো এখন না খেয়ে অপুষ্টিতে মৃত্যুবরণ করার মতো অবস্থা হয়ে গেছে। আমরা সব সময় যেটা বলে আসছি, এখনো বলছি, রাজপথে নামার কোন বিকল্প নেই। একমাত্র পথ হচ্ছে এদের (আওয়ামী লীগ সরকার) সরিয়ে দিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা, পার্লামেন্ট তৈরি করা। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, আমরা সবাই রাজপথে নেমে আসি এবং আমাদের শক্তি দিয়ে, জনগণের শক্তি দিয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের রাষ্ট্র, জনগণের পার্লামেন্ট, জনগণের সরকার তৈরি করি।
শনিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম নেতা তরিকুল ইসলামের স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃত করেন বিএনপি স্থায়ি কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সভায় বক্তৃতা করেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু , কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, জয়ন্তু কুমার কুণ্ড, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ ।
দলীয় নেতাকর্মীদের হট্টগোল নিয়ে বরাবরের মতো আজও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বারবার অনুরোধের পরও নেতাকর্মীরা শান্ত না হওয়ায় এ পর্যায়ে মির্জা ফখরুল বক্তৃতা না করে বসে পড়েন। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে মিলনায়তনে পিনপতন নীরবতা নেমে আসলে মির্জা ফখরুল আবার বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply