ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে উত্তেজনার মধ্যেই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুক্রবার শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে এই সফরে গেলেন তিনি।
কিন্তু ইউক্রেন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পুতিনের এই চীন সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। অলিম্পিকের উদ্বোধনের চেয়ে এই দুই নেতার মধ্যে কী কথা হচ্ছে, তা নিয়েই আগ্রহ বিশ্বের।
প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার যে বৈঠক করবেন, তাতে যে ইউক্রেন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিই প্রাধান্য পাবে তা নিয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট গত দুই দিনে চীনা বিভিন্ন মিডিয়াকে যেসব সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তা থেকেও স্পষ্ট যে ‘আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক’ পরিস্থিতি নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তাসহ নানা ক্ষেত্রে, বিশেষ করে গত এক দশকে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক যে মাত্রায় বেড়েছে, তাতে দুইপক্ষের মধ্যে কথা বলার বিষয়ের কোনো অভাব নেই। তবে ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখে পাশে থাকার জন্য চীনের কাছ থেকে তিনি যে স্পষ্ট একটি অঙ্গীকার শুনতে চাইবেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ তিনি জানেন যে একমাত্র চীনই তার দেশকে সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখে।
নিষেধাজ্ঞায় ভরসা কেন চীন?
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া নিয়ে নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলো যখন রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়, তখনও প্রেসিডেন্ট পুতিন চীনের দিকে তাকিয়েছিলেন এবং সাড়া পেয়েছিলেন।
আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বেইজিং শুধু তেল এবং গ্যাস কেনা নিয়েই মস্কোর সাথে চারশো’ বিলিয়ন ডলারের (৪০,০০০ কোটি ডলার) চুক্তি সই করে, যা সেই সময়ে রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভরাডুবি থেকে থেকে বাঁচিয়েছিল।
অবশ্য অনেক পর্যবেক্ষক বলেন, রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল নিয়ে চীন অস্বস্তিতে পড়লেও সস্তায় এবং সহজ শর্তে রাশিয়ার জ্বালানি সম্পদ কেনার সুযোগ তারা তখন হাতছাড়া করেনি।
কিন্তু সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে আবারও পুতিনকে সেই ভরসা কি দেবেন শি জিনপিং?
সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply