ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: সরকারের একের পর এক শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগে চাপের মুখে পড়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সর্বশেষ পদত্যাগ করেছেন পলিসি এডভাইজার এলেনা নারোজানস্কি। এর আগে বৃহস্পতিবার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে আরও ৪ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এই চার কর্মকর্তা হলেন বরিসের কার্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জ্যাক ডয়েল, হেড অব পলিসি মুনিরা মির্জা, চিফ অব স্টাফ ড্যান রোজেনফিল্ড ও সরকারের জ্যেষ্ঠ আমলা মার্টিন রেনোল্ডস।
বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ডাউনিং স্ট্রিটে একের পর এক লকডাউন পার্টি আয়োজনের খবর বেড়িয়ে আসতে শুরু করায় প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়েছেন বরিস জনসন। তিনি নিজে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান না মানতে পেরে পদত্যাগ করেছেন এই কর্মকর্তারা। সবার আগে পদত্যাগ করেন পলিসি হেড মুনিরা মির্জা।
এরপর পদত্যাগ করেন কমিউনিকেশন চিফ জ্যাক ডয়েল। প্রধানমন্ত্রী যদিও নিজের পদ টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধ করে চলেছেন। কিন্তু কনজারভেটিভ দলের এমপিরা অনেকটাই দ্বিধাগ্রস্ত। ডাউনিং স্ট্রিটে লকডাউনের নিয়ম না মেনে পার্টি করায় বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত কিনা তা বিবেচনা করছেন কনজারভেটিভ এমপিরা।
পদত্যাগ নিয়ে মুনিরা মির্জা জানান, প্রধানমন্ত্রী বরিস দেশটির বিরোধী দলের নেতা কেইর স্টারমার সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ তোলায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বরিস জনসনের মিত্র ছিলেন। কিন্তু পদত্যাগপত্রে তিনি জনসনের মন্তব্যকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এদিকে নিজের পদত্যাগ নিয়ে ডয়েল বলেন, সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ আমার পারিবারিক জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে।
চিফ অফ স্টাফ রোজেনফিল্ডের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বরিসের কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন। তবে এ পদে অন্য কেউ যুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। বরিসের প্রধান ব্যক্তিগত সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন মার্টিন রেনোল্ডস। তার ক্ষেত্রেও এক ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে এ পদের দায়িত্ব ছাড়ার পর তিনি আগের দায়িত্বে ফরেন অফিসে ফিরতে পারবেন।
সহযোগীদের পদত্যাগের ঘোষণা আসার পর বিরোধী দল লেবার পার্টির উপনেতা অ্যাঞ্জেলা রেনার বরিস জনসনকে আয়নায় নিজেকে দেখার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বরিসের শীর্ষ উপদেষ্টা ও সহযোগীরা পদত্যাগে করছেন। এটা চূড়ান্ত সময় নিজেকে আয়নায় দেখার। বরিস নিজেই সমস্যা কি না, সেটা বিবেচনার সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিবিসি জানিয়েছে, পদত্যাগ করাদের ৩ জনই ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরমধ্যে মার্টিন রেনোল্ডস নিজেই একটি পার্টিতে যোগ দিতে সবাইকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন।
Leave a Reply