প্রতিদিনের ব্যস্ততায় চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত দূষণ, ধুলাবালির কারণে চুলের প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছে। বিশেষ করে শীতের শেষের সময়টাতে অনেকেরই চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ ও অনুজ্জ্বল।
ঘুমানোর আগে অনেকেই চুল বেঁধে ঘুমান, কেউ বেণি করে আবার কেউবা চুলে খুলে ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু ঘুমানোর সময় কখনো চুল খোলা রেখে ঘুমাবেন না। এতে চুল জট লাগতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাঝারি চুলে বেণি বাঁধতে পারেন। যাদের চুল ছোট বা কোঁকড়া তারা পনিটেল বেঁধে রাখতে পারেন। এছাড়া আরও কী কী করবেন জেনে নিন।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাঝারি চুলে বেণি বাঁধতে পারেন। যাদের চুল ছোট বা কোঁকড়া তারা পনিটেল বেঁধে রাখতে পারেন
চুলের যত্নে তেল উপকারী। তেল চুলের পুষ্টি জোগায়, নরম ও ঝলমলে রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে পছন্দের যেকোনো তেল মাথায় লাগাতে পারেন। হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন। চুল খুলে নয়, বেঁধে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। রাতে চুলে তেল দিলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুলের জট ছাড়াতে এক্ষেত্রে তেলের পরিবর্তে সিরামও ব্যবহার করতে পারেন।
বালিশে মাথা রেখে ঘুমানোর আগে মাথায় একটা পাতলা সুতির বা সিল্কের কাপড় বেঁধে নিতে পারেন। তাতে চুল গোড়া আলগা হয়ে যায় না, চুল পড়াও কমে। চুলে বেণি বেঁধে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর অমসৃণ বালিশের কাভার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সুতি, সিল্ক ও সার্টিন কাপড়ে বালিশের কাভার ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।
ভেজা চুলে ঘুমাবেন না। হেয়ার ড্রায়ারও ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হয়। মোটা তোয়ালে দিয়ে চুল ভালো করে মুছে তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নেবেন
কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে গোসল করে অনেকেই চুল না শুকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকাবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হয়। মোটা তোয়ালে দিয়ে চুল ভালো করে মুছে নেবেন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন।
চুলে শ্যাম্পু করবেন। মাথার ত্বকে ময়লা জমলে খুশকি, চুল পড়ার মতো সমস্যাগুলো বেড়ে যায়। আর প্রতিদিন ঘুমানোর আগে চুল আঁচড়াতে ভুলবেন না, চুল আঁচড়ালে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ে এবং চুলের বৃদ্ধিও ঘটে।
Leave a Reply