এছাড়া রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসও বাংলাদেশিদের গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে যুদ্ধাবস্থায় পোল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছানোই এখন সবার জন্য চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার হামলা শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশিরা দলে দলে ইউক্রেন ছাড়তে শুরু করে। বেসরকারি হিসাবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বসবাস করে রাজধানী কিয়েভ শহরে। সেখান থেকে পোল্যান্ড সীমান্তের দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটারের বেশি। বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় এই পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে ট্রেনে কিংবা ট্যাক্সিতে। হাইওয়েতে ব্যাপক যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। ভাড়া বাবদ খরচ করতে হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে। কিয়েভে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা অনেকেই অর্থকষ্টে পড়েছেন। ব্যাংক বন্ধ থাকায় অনেকের কাছে অর্থ থাকলেও তা ক্যাশ করতে পারছে না। এটিএম থেকেও ক্যাশ উত্তোলন করা যাচ্ছে না। এদিকে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ছাড়া সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে পোল্যান্ড। পোল্যান্ডের ওয়ারশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ছাড়া পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্টধারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে তাদের পাসপোর্ট দেখিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন। অন্যদিকে যাদের পাসপোর্ট নেই, তারা ট্রাভেল পাস নিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক বাংলাদেশিকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সঙ্গে রাখতে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়ারশের বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি দল শনিবার সকালে পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তের পথে রওনা হবে। ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে ঢুকতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের তারা সহায়তা প্রদান করবেন। ইউক্রেনের ভেতরে বিচ্ছিন্ন বোমা বিস্ফোরণ, পেট্রল অপ্রতুলতা ও পথিমধ্যে অতিরিক্ত ট্রাফিক জ্যামের কারণে এই মুহূর্তে দূরবর্তী এলাকায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সীমান্তের দিকে রওনা হতে হলে পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে রওনা দিতে অনুরোধ জানিয়েছে ওয়ারশের বাংলাদেশ দূতাবাস।
Leave a Reply