জহিরুল হক মিলন: ফেনী জেলা যুবলীগ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। সুসংগঠিত ও বেশ মজবুত ভিতে দাঁড়িয়েছে। অত্যন্ত সুশৃংঙ্খল, সুসজ্জিত ও উৎসবমুখর পরিবেশে জেলা জুড়ে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩শ ৭২টি সম্মেলন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকীগুলো আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করতে তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন সম্পন্ন করা সত্যিই বিরল। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন নেতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যুব জাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে ফেনী যুবলীগ। যা সারা বাংলাদেশের মধ্যে ফেনী জেলা যুবলীগ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। সুসংগঠিত ও বেশ মজবুত ভিতে দাঁড়িয়েছে। অত্যন্ত সুশৃংঙ্খল, সুসজ্জিত ও উৎসবমুখর পরিবেশে জেলা জুড়ে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩শ ৭২টি সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। বাকীগুলো আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করতে তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন সম্পন্ন করা সত্যিই বিরল। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন নেতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যুব জাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে ফেনী যুবলীগ। যা সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ফেনী জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে দিদারুল কবির রতন ও রাজীব চৌধুরী, জিয়া উল আলম মিস্টার দায়িত্বে আসার পর থেকে সংগঠনকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নতুন নেতৃত্ব সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস চলাকালে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, মানুষ নানা সঙ্কটে জর্জরিত ঠিক তখন; রাজপথের লড়াই সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন যুবলীগ ফেনীতে মানুষের পাশে দাঁড়ালো। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনা মেনে তৃণমূল থেকে শুরু করে সকল সাংগঠনিক পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাকে এ সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেলো। সরকারের পাশাপাশি এসময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা এলাকাভিত্তিক ত্রাণ বিতরণ শুরু করে। ত্রাণ সামগ্রীর মাঝে ছিল চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও ঈদ উপহার সামগ্রী এবং রান্না করা খাবার। যুবলীগ এই করোনাভাইরাসের সঙ্কটে ফেনীর বিভিন্ন জায়গায় লাশ দাফনে কাজ করেছে। করোনাকালীন সময়ে শ্রমিক সংকটে পড়ে কৃষক। ঠিক সেসময় কৃষকদের স্বপ্নের পাকা ধান ঘরে তুলে দেয় ফেনীতে যুবলীগ। দু:সময়ে মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে প্রশংসা কুড়ায় সংগঠনটি। এছাড়া মুজিববর্ষের কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ‘গাছ লাগাই, জীবন বাঁচাই’- স্লোগানকে সামনে রেখে ফেনীতে যুবলীগ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে যুবলীগ। কেন্দ্রীয় নির্দেশে একটি করে বনজ, ফলজ ও ঔষধি তিন রকমের গাছ রোপণ করেছে।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজিজ রাজীব কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তিনি যুবলীগের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নতুন এ নেতৃত্ব যুবলীগকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সাংগঠনিক কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে যুবলীগের কর্মীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর চেতনা ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির হাতকে শক্তিশালী করতে নানামুখী কার্যক্রম শুরু করেন। অল্পদিনের ব্যবধানে তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থার সঞ্চার করেছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনায় দেশের অন্যসব জেলার চেয়ে ফেনীতে যুবলীগ গণমানুষের নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। মানুষের কল্যাণে সর্বময় আত্মনিয়োগ করাই প্রতিটি নেতাকর্মীর লক্ষ্য। জেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে যুবসমাজের অধিকার সমুন্নত রাখতে যুবলীগের সম্মেলন চলছে। স্বাধীনতা বিরোধী ওই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসী অপশক্তি রুখে দিয়ে আগামী ২০২৩ সালে নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় কাজ করবে।
Leave a Reply