নিজস্ব প্রতিবেদক: জনগণের মনে সঞ্চিত শক্তি এবং সাহসের কারণেই স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর সেদিন জনগণের মনে সাহস ও শক্তি এসেছিল হৃদয়ের ভেতর থেকে। যা অবলম্বন করেই বঙ্গবন্ধু দেশ শত্রুমুক্ত করতে বাংলার আপামর জণগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে আজ আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। শনিবার (২৬ মার্চ ২০২২) রাজধানীর মিরপুর ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড কলেজে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা এসব কথা বলেন। মিরপুর ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড কলেজ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, শিশু-কিশোরদের হাতের লেখা, কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
কলেজের অধ্যক্ষ ইয়াহিয়া খান রিজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে দৈনিক পাঞ্জেরী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তালুকদার রুমি, সম্মানিত অতিথি কবি ফরিদ ভূঁইয়া, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ ফয়েজ আহমেদ লিটনসহসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক কামাল হোসেন চিত্রাংকন, হাতের লেখা এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রের পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়া এই স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আজ আমরা বিশে^র বুকে মাথা উচু করে কথা বলতে পারছি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক না দিলে দেশও স্বাধীন হতো না, আমাদের মনে সাহসও থাকতোনা। তাই স্বাধীনতার ভেতর দিয়ে বিশে^র কাছে আজ এটাই প্রমাণিত যে, নিজেদের অধিকার আদায় করতে বাঙালি জাতি লড়াই করতে জানে এবং পারেও। তবে সবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম মেধা এবং দক্ষ নেতৃত্বের কারণে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক পাঞ্জেরী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তালুকদার রুমি বলেন, দেশের সকল জনগণ আজ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে। তবে দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে দল-মত নির্বিশেষে সকল পেশার সকল জনগণই ভূমিকা রেখেছে, মুক্তিযুদ্ধে সকলেরই অবদান রয়েছে। তাই রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে যদি আমরা স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারি তবেই শান্তি পাবে জীবনদানকারী সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আতœা এবং স্বার্থক হবে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সকল আত্মত্যাগ।
মো. ইয়াহিয়া খান রিজন বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা স্বাধীনতা দিবসে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, হাতের লেখা প্রতিযোগিতা এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগির আয়োজন করেছি। যেখানে শিশুরা তাদের লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সন্বন্ধেও জানতে পারছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এমন প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে আমি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞত প্রকাশ করছি শিশুদের নিয়ে আমাদের এই আয়োজন সফল ও সুন্দর করতে যারা সর্বাতœক সহযোগিতা করেছেন বিশেষ করে বিশ^সাহিত্য কেন্দ্র, একরন, ফেবারক্যাসেল, সেভরি ফুডসহ সকলকে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মিরপুর ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড কলেজ প্রতি বছরেরর ন্যায় এবারও হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। যেখানে ৪টি গ্রুপে হাতের লেখায় ৬০ জন প্রতিযোগী, ৫টি গ্রুপে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ৭০ জন প্রতিযোগী এবং ৩টি গ্রুপে কবিতা আবৃত্তিতে ২২ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়।
Leave a Reply