খাওয়ার পর অনেকেই এক চিমটি মৌরি চিবিয়ে খান। অনেকে আবার সকালবেলায় খালি পেটে মৌরি ভেজানো পানি খেয়ে থাকেন। মৌরি খনিজ লবণসমৃদ্ধ একটি বীজ। প্রাচীনকাল থেকেই এই মসলাটি ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন সি, আয়রন, সেলেনিয়াম আর ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে।
বহুকাল আগে থেকেই মুখশুদ্ধি হিসেবে মৌরি খাওয়ার চল রয়েছে। অনেকের হয়তো জানা নেই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্যও মৌরি উপকারী। মৌরির মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরের একাধিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যেমন-
১. ওজন কমাতে সাহায্য করে মৌরি। এতে থাকা পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
২. হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে মৌরি। খাবার দ্রুত হজম হলে শরীরে মেদ জমতে পারে না। কোমরের মেদ কমাতেও মৌরিতে ভরসা করতে পারেন।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ভীষণ উপকারী মৌরি। নিয়মিত দু’বেলা খেলে এই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
৪. মৌরি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে পেটের ফোলাভাব কমে।
৫. চোখের নানা সমস্যা নিরাময়ের জন্যও খেতে পারেন মৌরি।
৬. মৌরিতে যেহেতু প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম রয়েছে, এ কারণে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত মৌরি খেলে উপকার পাবেন।
প্রতিদিনের খাদ্যতিালিকায় কীভাবে যোগ করবেন মৌরি
এমনিতে অনেকের বাড়িতেই মৌরি দিয়ে রান্না হয়। এর ফলে খাবারে পুষ্টিগুণ তো থাকেই সেই সঙ্গে পাওয়া যায় সুগন্ধ। এছাড়া কাঁচা মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। এর ফলেও উপকার পাবেন। তবে অতিরিক্ত মৌরি খাবেন না। তার ফলে সমস্যা বাড়তে পারে।
চায়ের সঙ্গে কিংবা গরম পানিতে মৌরি ভিজিয়ে রেখে সেই পানীয় খেতে পারেন। এর মাধ্যমে শুধু যে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরবে তা নয়, আরও অনেক উপকার পাওয়া যাবে।