গত বছর ঈদ-উল-আজহায় মুক্তি পাওয়া রায়হান রাফির পরিচালিত “পরাণ” সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধেন শরিফুল রাজ এবং বিদ্যা সিনহা মিম। পরবর্তীতে গত অক্টোবরে মুক্তিপ্রাপ্ত একই পরিচালকের নির্মিত “দামাল” সিনেমায়ও একত্রে কাজ করেন তারা। দুটি সিনেমায়ই রাজ-মিম জুটি দর্শকদের ব্যাপক নজর কাড়ে।
ধারণা করা হচ্ছিল, রাজ এবং মিমকে সামনে আরও অনেক সিনেমায়ও জুটি বাঁধতে দেখা যাবে। কিন্তু “দামাল” সিনেমার মুক্তির পরই মিমকে জড়িয়ে তাকে আক্রমণ করে একটি স্ট্যাটাস দেন আরেক চিত্রনায়িকা ও রাজের স্ত্রী পরীমণি। পরবর্তীতে রাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে আর কোনো সিনেমায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন মিম।
বলে রাখা ভালো, ২০২১ সালে পরিচালক রায়হান জুয়েলের “পথে হলো দেখা” ছবিতে চুক্তি করেছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। ছবিটিতে তার বিপরীতে শরীফুল রাজকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষে ছবির পরিচালককে মিম জানান, রাজের বিপরীতে তিনি আর কাজ করতে আগ্রহী নন।
মিম তখন বলেছিলেন, “গল্পের প্রয়োজনে ছবিতে বেশকিছু রোমান্টিক দৃশ্য থাকতে পারে। রাজের সঙ্গে এসব দৃশ্য করতে গেলে পরে তাদের পরিবারের মধ্যে আবার অবিশ্বাস তৈরি হবে, ঝামেলা তৈরি হবে। এতে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন হবে। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আবারও হেয় হতে পারি আমি। আমি চাই রাজ ও পরীমনি ভালো থাকুক।”
অনেকের ধারণা, ঢালিউডে রাজ-মিম জুটি ভেঙে যাওয়ার পেছনে নেপথ্য ভূমিকা পরীমণির। কিন্তু স্বামী শরিফুল রাজকে সঙ্গে নিয়ে একটি টক শোয়ে অতিথি হিসেবে এসে এ চিত্রনায়িকা জানান, মিমের সঙ্গে শরিফুলের জুটি ভাঙার নেপথ্যে তার কোনা ভুমিকা নেই। এমনকি রাজ-মিম জুটিকে আবার পর্দায় দেখতেও তার কোনো আপত্তি নেই।
পরীমণির উদ্দেশে প্রশ্ন রাখা হয়, তবে কি তার জন্যই ভেঙে গেল শরিফুল ও মিমের জুটি? প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রীর স্পষ্ট জবাব, এগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা। তাছাড়া, মিম হঠাৎ করে এক দিন বলে দিল, সে আর কাজ করবে না শরিফুলের সঙ্গে। সেটা তো কোনো সমাধান নয়। এমন গায়ে পড়া মানুষ আমার মোটেও পছন্দ নয়।
পরীমণি আরও জানান, মিম শরিফুলের চেয়েও তার সঙ্গেই বেশি ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি চান তারা (রাজ-মিম) আবারও একসঙ্গে কাজ করুন। কারণ পর্দার সামনে তাদের জুটি পরীমণির ভীষণ প্রিয়। যদিও কথোপকথন চলাকালে শরিফুল অবশ্য পুরোটা সময় নীরব ছিলেন।