ত্বক থেকে চুল, সবেতেই দারুণ উপকারী বন্ধু হচ্ছে অ্যালোভেরা। তাই অনেক তরুণী চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ওপরেই ভরসা রাখেন।
তবে এজন্য বাজার থেকে অ্যালোভেরাযুক্ত পণ্য কেনার প্রয়োজন নেই। ঘরোয়া কয়েকটি উপাদানের সঙ্গেই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে ঘন এবং লম্বা চুল পাওয়া সম্ভব। কীভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে হয় তার হদিশ দেওয়া হলো এখানে।
চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকে চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে চুলে লাগালে এতে চুলের উজ্জ্বলতাও বেড়ে যাবে।
রুক্ষ চুলকে উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করতে পারেন মধু, নারিকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল। শুষ্ক চুলে আর্দ্রতা ফেরাতে ও চুলের ডিপ কন্ডিশনিং করতে এই উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এক চা চামচ মধু, দু’ চামচ নারকেল তেল ও দু’ চামচ অ্যালোভেরা নিয়ে মিশিয়ে এক জেলের মতো উপাদান তৈরি করুন। গোসলের ৩০ মিনিট আগে এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে একটা শাওয়ার ক্যাপে ঢেকে দিন মাথা। পারে আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে দই ও অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। দু’ চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ অ্যালোভেরা মিশিয়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন চুল। কন্ডিশনার দিতে ভুলবেন না। লেবুর রস, অ্যালোভেরা ও আমলার রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, গোড়া মজবুত করে।
একটি ডিমের কুসুম ও দু’চামচ অ্যালোভেরা ও তার সঙ্গে এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। এতে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও চুল পড়া বন্ধ হবে।