রক্তচাপের মতো ডায়াবেটিস এখন ঘরে ঘরে। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। কায়িক পরিশ্রম কম করা, নিয়মহীন জীবনযাপনের কারণে নীরবে শরীরে বাসা বাঁধে ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে মানেই খাওয়া-দাওয়ায় লাগাম টানতে হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ বা ইঞ্জেশন তো আছেই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী একটি হাতিয়ার হতে পারে কাঁচা পেঁয়াজ।
‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি তথ্যে বলা হয়েছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা যদি টানা চার সপ্তাহ খাবারের সঙ্গে নানা ভাবে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন, তা হলে রক্তে ফাস্টিং সুগারের মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব। অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কারও কারও ক্ষেত্রে টাইপ ১ ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কীভাবে সাহায্য করে পেঁয়াজ?
১) পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ বেশ কার্যকরী। পেঁয়াজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ডায়াবিটিস কমানোর পাশাপাশি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) পেঁয়াজে শর্করার পরিমাণ কম। ফলে ডায়াবেটিস হলে অনায়াসে পেঁয়াজ খেতে পারেন। ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকরা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে বারণ করেন। পেঁয়াজেও কার্বোহাইড্রেট একেবারে নেই বললেই চলে।
৩) যেসব খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) বেশি, ডায়াবেটিস থাকলে তা খাওয়া যায় না। পেঁয়াজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একেবারে কম। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলেও, পেঁয়াজ তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
এছা়ড়া, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পেঁয়াজ হার্ট ভালো রাখতেও সক্ষম। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শুধু তা-ই নয়, সেখানে বলা হয়েছে, আট সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পেঁয়াজ খেলে ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।