রূপচর্চায় দুধ ও সরের কদর সেই আদিকাল থেকেই। হালের প্রসাধনী ও স্কিনকেয়ার পণ্যে দুধ ও দুধের সর ক্রিম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিশ্বজুড়েই ত্বক ও চুলের যত্নে দুধের ব্যবহার ও উপযোগিতা নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাঁচা দুধ ত্বকের জন্য ভালো ক্লিনজার। এর ল্যাকটিক অ্যাসিড এক মৃদু পিলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এর রয়েছে এক্সফোলিয়েট করার গুণও। আবার দুধ ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। কাঁচা দুধ খুব ভালো টোনারও, বিশেষত শুষ্ক ত্বকের জন্য। দুধে আছে ত্বক ও চুলে পুষ্টি জোগানোর জন্য ভিটামিন এ, সি, ডি ও কে। কাঁচা দুধের ভিটামিন সি ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে জেল্লা ফিরিয়ে আনে।
ময়েশ্চারাইজার: দুধ ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ত্বকে কয়েক মিনিট দুধের সর মালিশ করলে তা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের ক্ষয় পূরণ করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতায়: দুধের সর ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে দারুণ কার্যকরী। সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে তা মুখে লাগান। মধু উচ্চ খনিজসম্পন্ন যা ত্বক সুস্থ রাখে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ত্বকের রং: ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের পোড়াভাব দূর করে এবং প্রাকৃতিকভাবেই রং হালকা করে সার্বিকভাবেই ত্বক উন্নত করে।
কালো দাগ: ত্বকের দাগছোপ দূর করতে আক্রান্ত স্থানে দুধের সর মালিশ করুন। ভালো ফলাফলের জন্য সরের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। শুকিয়ে আসলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি মৃত-কোষ দূর করে নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে।
বয়সের ছাপ: প্রাচীনকালে নারীরা ফেসপ্যাক বা স্ক্রাবার হিসেবে নিয়মিত দুধের সর ব্যবহার করতেন। এর প্রোটিন ও ভিটামিন কোষকলার উৎপাদন বাড়ায় এবং বয়সের ছাপ পড়া দূর করে।