অতিরিক্ত গরম, প্রখর রোদের তাপ মাইগ্রেনের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। যাদের প্রতিদিন রোদে বেরোতে হয়, তারা মাইগ্রেনের সমস্যায় বেশি ভোগেন। সেই সঙ্গেই গরমের কারণে ঘুম না হওয়া, মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন আরও গুরুতর করে দেয় মাইগ্রেনের সমস্যাকে। তা ছাড়া শরীরে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলেও মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যায়।
রোদ থেকে ফিরে একবার মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে সহজে তো সারেই না, বরং চোখে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, গা-বমি ভাব পরিস্থিতিকে আরও অসহনীয় করে তোলে। মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল কেন মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে, সেই কারণ খুঁজে বার করা।
যদি তা বুঝতে অসুবিধা হয়, তাহলে মাইগ্রেন ডায়েরি মেনে চলুন। কোন দিনগুলোতে মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে, সে দিনগুলোতে কী খাচ্ছেন, বেশিক্ষণ রোদে থাকছেন কিনা, সেগুলো খেয়াল রাখুন। একই সঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, গরমে মাইগ্রেন বশে রাখার কয়েকটি উপায়।
শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবেন না: গ্রীষ্মের দিনে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর মাত্রায় পানি বেরিয়ে যায়। দিনে অন্তত পক্ষে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি কিন্তু খেতেই হবে। সঙ্গে এমন সবজি বা ফল ডায়েটে রাখুন যেটারে পানির মাত্রা একটু বেশি রয়েছে। বাইরে বেরোলেই ব্যাগে পানির বোতল রাখতে ভুলবেন না। শরীর খারাপ লাগলেই ছায়ায় বসে অল্প অল্প করে পানি খান। মাঝেমধ্যে দইয়ের ঘোল, লাচ্চি, ফলের রসও খেতে পারেন।
খাদ্যতালিকায় নজর রাখুন: খাদ্যাভ্যাসে বদল আনলে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যাদের মাইগ্রেন রয়েছে তাদের কফি, চকলেট, রেড ওয়াইন, ড্রাই ফ্রুটস, চিজ জাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলাই ভালো। পরিবর্তে বেশি করে ফল ও শাক-সবজি খেতে হবে।
টুপি ও রোদচশমা নিতে ভুলবেন না: রোদ থেকে বাঁচতে টুপি ও রোদচশমা অবশ্যই ব্যবহার করুন। চোখে সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তাই সতর্ক থাকুন।
এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন: রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই গরমের অস্বস্তিবোধ কমাতে এসির তাপমাত্রা অত্যধিক মাত্রায় কমিয়ে রাখেন অনেকে। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেও ভাল নয়। এসির তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রিতে মধ্যেই রাখা ভালো। নইলে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা।
উপকারী তেল সঙ্গে রাখুন: ইউক্যালিপটাস অয়েল, মিন্ট অয়েল দিয়ে মাথায় মালিশ করলে মাইগ্রেনের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি আরও যে উপসর্গ থাকে, তাও কম হয়।
খালি পেটে থাকবেন না: খালি পেটে থাকলেও মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যায়। গরমের দিনে খুব বেশি খেতে ইচ্ছে না করলেও হালকা খাবার কিংবা গোটা ফল সঙ্গে রাখুন।
চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত চিনি আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতেই পারেন মাঝেমাঝে, তবে পরিমাণে কম।