রোববার (২৮ মে)। তুরস্কের দ্বিতীয় দফা নির্বাচন চলছে। আজই ফয়সালা হবে ২০ বছর ধরে দেশটিকে শাসন করে আসা রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানই পুনরায় ক্ষমতায় ফিরছেন নাকি প্রধান বিরোধী দলের নেতা কেমাল কিলিচদারওলু ক্ষমতায় আসবেন । প্রথম দফা ভোটে এগিয়ে ছিল রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। খবর আল-জাজিরা।
৮ কোটির ও বেশি তুর্কি প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার যোগ্যতা আছে, যার মধ্যে অনেকে ১৪ মে প্রথমবারের মতো ভোটার ছিলেন। বিকাল ৫টায় ভোট শেষ হওয়ার কথা।
তবে এই দুই নেতার ভাগ্যে কী আছে, তা এখন অনেকটাই সিনান ওগান ও তাকে সমর্থন দেওয়া জোট এটিএ অ্যালায়েন্সের হাতে।
প্রথম দফা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা ওগান রান অফে এরদোয়ানকে সমর্থন করেছেন। প্রথম দফায় নির্বাচনে ৫.১৭ শতাংশ ভোট নিয়ে ওগ্যান তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন।
কিছু বিশ্লেষকদের মতে এই রান অফ ভোটে তিনিই সম্ভাব্য ‘কিংমেকার’। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এটা নিশ্চিত নয় যে ওগানের সমস্ত সমর্থক এরদোয়ানকে সমর্থন করবেন। কেউ কেউ কিলিচদারওলুকেও সমর্থন করতে পারেন এবং অন্যরা রান অফে ভোট না দেওয়া বেছে নিতে পারেন।
১৪ মে প্রথম দফা ভোটের আগে সিনান ওগান তেমন পরিচিত মুখ ছিলেন না। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন এটিএ অ্যালায়েন্সের সমর্থনে। এই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে ডানপন্থী নেতা উমিত ওজদাগের দল ভিক্টরি পার্টি।
এরদোগানের নেতৃত্ব তুরস্ক ইতোমধ্যে এশিয়া ও ইউরোপে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উভয়ের সাথে কৌশলী সম্পর্ক রক্ষা করে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অপরিহার্য নেতারূপে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন বলে তাঁর সমর্থকরা বলছেন। অন্যদিকে বিরোধীরা এরদোগানের দীর্ঘ শাসনামলে তুরস্ক ক্রমশ: একটি কর্তৃত্ববাদী দেশরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন। মত প্রকাশ এবং মানবাধিকার পরিস্থিতিও এসময় দারুণভাবে লংঘিত হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।