ফল মানেই পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু কিছু ফল আছে যেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু নির্দিষ্ট ফল রয়েছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত বা সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা উচিত। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস ডায়াবেটিস রোগীদের সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে প্রতিদিন ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
ফলমূল ও শাকসবজি খেলে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। শরীরে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারের ঘাটতি মেটাতে ফল দারুণ কার্যকরী। তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ কিছু ফল এমন হয় যাতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি এড়াতে, ডায়াবেটিস রোগীদের বেছে বেছে ফল খাওয়া উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, এই ৫ ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে-
তরমুজ
এই রসালো এবং সতেজ ফল গ্রীষ্মের মৌসুমে পাওয়া যায়। তরমুজ অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল। এই ফলে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খুব সীমিত পরিমাণে তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে কম জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) খাবারের সঙ্গে তরমুজ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
কলা
কলার উচ্চ জিআই স্কোর ৬২। একটি ছোট কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি টক দইয়ের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি সারাদিনের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসাবে দুর্দান্ত হতে পারে। এভাবে খেলে তা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের পেট ভরিয়ে রাখতে পারে।
আনারস
আনারসে প্রায় ১৬ গ্রাম চিনি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আনারস খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত। এ ধরনের রোগীরা চর্বি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ কম জিআই খাবারের পরে ডেজার্ট হিসাবে আনারস খেতে পারবেন।
আম
স্বাদের কারণে আমকে বলা হয় ফলের রাজা। এটি সবার কাছেই প্রিয় একটি ফল। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে আম খাওয়ার আগে ভেবে খাওয়া উচিত। একটি আমে ১৪ গ্রাম চিনি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে।
লিচু
গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে লিচু অন্যতম। এই রসালো ও সুমিষ্ট ফলে প্রায় ১৬ গ্রাম চিনি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিস রোগীদের সীমিত পরিমাণে লিচু খাওয়া উচিত। এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা।