কথাতেই আছে ‘যত দোষ, নন্দ ঘোষ’। বাংলার এই প্রবাদকে করণ জোহরের জন্য সার্থক করে তুলছেন কঙ্গনা রানাউত। কারণ বি-টাউনে উনিশ-বিশ হলেই তাকে দায়ী করতে ছাড়েন না বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনা রানাউত।
কঙ্গনার কাছে করণ জোহরই নন্দ ঘোষ! এবার রণবীর কাপুর কেন শ্রীরামের ভূমিকায় অভিনয় করছেন? সেই জন্যও করণ জোহরকেই খোঁচা দিলেন অভিনেত্রী।
শনিবারই রণবীরকে ‘রোগা সাদা ইঁদুর’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তার ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই আরও রণংদেহী মেজাজে নোংরা আক্রমণ অভিনেত্রীর। এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরির পোস্টে এবার করণ জোহরকে ‘শকুনি’ এবং রণবীর কাপুরকে ‘দুর্যোধন’ বলে আক্রমণ করলেন।
তাতে কঙ্গনা বলেন, ‘গতকালের গল্প আরও বিশদভাবে বলতে গেলে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সব ধরনের আপদ রয়েছে। কিন্তু সবথেকে খারাপ হল, এই দুর্যোধন (সাদা ইঁদুর) এবং শকুনি (পাপা জো) জুটি। তারা নিজেরাই স্বঘোষিত পরনিন্দা-পরচর্চাকারী, হিংসুটে, এবং হীনমন্যতায় ভোগা লোক। ওরা নিজেদেরকে বলিউডের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলে মনে করে।
‘গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এটা জানে যে, সুশান্ত সিং রাজপুতের বিরুদ্ধে সমস্ত চক্রান্তের নেপথ্যে ওরাই প্রধান সন্দেহভাজন ছিল। যা সুশান্তকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এমনকি, ওরা আমার বিরুদ্ধেও ভিন্ন ধরণের কুরুচিকর গুজবও ছড়িয়েছে।’
এখানেই অবশ্য থামেননি কঙ্গনা। হৃতিক রোশনের সঙ্গে নিজের অতীত কাহিনি উল্লেখ করে কঙ্গনা এও বলেন, ‘আমার সঙ্গে হৃতিকের যখন ঝামেলা চলছিল, এরা সেখানে ইচ্ছে করে রেফারির ভূমিকা পালন করেছে। তারপর আমার জীবন এবং ক্যারিয়ারে তাদের হস্তক্ষেপ হয়রানির থেকে কোনো অংশে কম নয়। যেহেতু আমি ওদের এই কেচ্ছাগুলো প্রকাশ্যে এনেছি, তাই ওরা আমার সিনেমার বিরুদ্ধে কুকথা রটিয়েছে।
‘আমার পায়ের তলার মাটি হয়তো এখনও অতটা শক্ত নয়। কিন্তু একদিন আমার ক্ষমতা হলে আমি ওদের সব কুকীর্তি ফাঁস করব। ডার্ক ওয়েব, হ্যাকিং, গুপ্তচরবৃত্তি এবং গোপনে মানহানি, কী করেনি ওরা? এগুলোই ওদের জেলে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।’
প্রসঙ্গত, নীতিশ তিওয়ারি পরিচালিত ‘রামায়ণ’-এ রামের ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীরকে এবং সীতার চরিত্রের জন্য নির্মাতারা আলিয়া ভাটকে ভেবেছেন। প্রাথমিক স্তরে কথাও এগিয়েছে। সেই খবর ট্রেন্ডিং হওয়ার পরেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন কঙ্গনা।
পেট চালানোর জন্য কিছুদিন হাতে টানা গাড়িও চালিয়েছেন। এখন তিনি ফটোগ্রাফি জগতের বিশিষ্ট নাম। ইনস্টাগ্রামে তার অনুগামীদের মধ্যে রয়েছে টাইগার শ্রফ থেকে তাপসী পান্নুরা।
তবে নিজের অতীত ভোলেন নি মুন্না। তাইতো ইনস্টাগ্রাম বায়ো-তে নিজের পরিচয় দিয়ে লিখেছেন- ‘রোটিগ্রাফার থেকে ফটোগ্রাফার।’
মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহারাষ্ট্রে আকোলা থেকে মুম্বাই আসেন মুন্না। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক সাক্ষাৎকারে নিজের জার্নি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সংবাদপত্র ফিরি করা থেকে কীভাবে ফটোগ্রাফির সূত্রপাত হলো তা উঠেছে মুন্নার কথায়।