চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজলের জুড়ি নেই। যারা একদমই মেকআপ করেন না, তারাও কিছু না হোক চোখে কাজলটা লাগান। তবে কাজল লাগানোর সময় অনেকে নিজের অজান্তে কিছু ভুল করেন।
চোখের চামড়া টেনে কাজল লাগানো: অনেকেই এই পদ্ধতিতে কাজল বা আইলাইনার লাগান, যাতে দু-চোখে সমানভাবে কাজল পরা যায়। কিন্তু প্রতিদিন এভাবে চোখ টেনে কাজল পরলে চোখের নীচের অংশে এবং আউটার এরিয়াতে খুব তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ার আশঙ্কা থাকে।
চোখের নীচের পাতায় কাজল লাগানো: বেশ অনেক বছর আগে স্টাইল ছিল শুধুমাত্র চোখের নীচের পাতায় কাজল লাগানো। তবে যুগের সঙ্গে সে স্টাইলও বদলে গেছে। কাজেই শুধু নীচের পাতায় কাজল লাগানোর বদলে উপর ও নীচ, দু’ জায়গায়ই কাজল লাগান। এতে আই মেকআপ একটা অন্য মাত্রা পাবে।
দিনের বেলা মোটা করে কাজল লাগানো:অনেকে চোখে যখনই কাজল লাগান, মোটা করে রেখা টানেন। কিন্তু সব সময়ে সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে বা অনুষ্ঠানে মোটা কাজল দেখতে ভালো লাগে না। আর সবচেয়ে বড় কথা, মেকআপ তোলার সময়ে যতই আপনি মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করুন, মোটা কাজলের রেখা চোখ থেকে তোলা বেশ কষ্টকর।
ডার্ক সার্কল ঢাকতে কাজল স্মাজ করুন: স্মাজ করা আই মেকআপ দেখতে তো ভালোই লাগে, আর স্মোকি আইজ করার সময়েও চোখের উপরের পাতা এবং নীচের পাতার বাইরের দিকে আইশ্যাডোর সঙ্গে কাজলও একটু স্মাজ করে দেওয়া হয়। তবে অনেকেই নিজের ডার্ক সার্কল ঢাকার জন্য মোটা করে কাজল পরেন এবং এত বেশি স্মাজ করেন যে, দেখতে খারাপ লাগে। ডার্ক সার্কল যদি ঢাকতেই হয়, তা হলে কনসিলার ব্যবহার করাটাই ভালো।
কাজল পেনসিলকে অযত্নে রাখা: কাজল পেনসিল ঠিক ভাবে রাখাটাও কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকেই কাজল পেনসিলের ঢাকনা খুলে রেখে দেন। এতে কাজল শুকিয়ে যেতে পারে এবং কাজলে ধুলো বা ময়লা লাগতে পারে। এই ময়লা চোখে গেলে চোখের ভয়ানক ক্ষতিও হতে পারে।