Sunday, November 24, 2024

চা নাকি কফি, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা বেশি উপকারী?

অনেকেরই দিনের শুরুটা চা না হলে চলে না। কারও আবার কফি। এই দুই পানীয়ের মধ্যে কোনটি এগিয়ে, এই নিয়ে মাঝেমাঝেই তর্ক হয়। কেউ কফির গুণাগুণ করেন ,কেউ আবার চায়ের। স্বাস্থ্যগুণে কোনটি এগিয়ে তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরি। তিনি জানান, চা ও কফির স্বাস্থ্যগুণের পার্থক্য নিয়ে।

ক্যাফিনের ভাণ্ডার কফি​: কফিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফিন রয়েছে। এটি কফির অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। এই উপাদান স্বাস্থ্যের উন্নতির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রসঙ্গে কোয়েল পাল চৌধুরি জানান, কফির হাজারও গুণ রয়েছে। এই পানীয় নিয়মিত খেলে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, পিত্তথলিতে পাথর এবং পার্কিনসনসের মতো জটিল অসুখ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া কফি মুড বুস্ট করার কাজে দারুণ কার্যকর। এমনকী উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তার ফাঁদ এড়ানোর কাজেও এই পানীয়র বড়সড় ভূমিকা রয়েছে। তাই শরীর ও মনের স্বাস্থ্য ফেরাতে চাইলে নিয়মিত কফি খেতেই পারেন।

চায়ের বিকল্প নেই​: চায়েও অনেকটা পরিমাণে ক্যাফিন রয়েছে। এছাড়া এতে আছে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। এ কারণে নিয়মিত চা খেলে নানা ধরনের কার্ডিও ভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ওজন কমানো এবং ক্যান্সার প্রতিরোধের কাজেও এই পানীয়ের জুড়ি নেই।

আর কফির মতোই চায়েরও মুড ভালো করার ক্ষমতা রয়েছে। তাই চা পান করার পর কাজে মন বসাতে সুবিধা হয়। এমনকী কেটে যায় উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তা।

চা না কফি, পুষ্টিগুণে কোনটি এগিয়ে?

কোয়েল পাল চৌধুরি জানান, কফির তুলনায় সাধারণ চায়ের দাম কিছুটা কম। তাই অনেকেই ভাবেন, চায়ের তুলনায় কফি হয়তো অতিরিক্ত উপকারী। তবে বিষয়টি ঠিক নয়। এই দুই পানীয়ের কোনও একটি খেলেই উপকার মিলবে। তবে, চায়ের তুলনায় কফিতে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি ক্যাফিন রয়েছে। তাই কফি খেলে দ্রুত মুড বুস্ট হবে। অন্যদিকে চায়ে এমন একটি উপাদান মজুত রয়েছে যা দেরিতে হলেও দীর্ঘক্ষণ মুড ভালো রাখতে পারে।

দিনে কত কাপ চা-কফি পান করা উচিত?​

অনেকেরই চা বা কফির প্রতি আসক্তি রয়েছে। এ কারণে অনেকেই যখন তখন চা – কফি পান করেন। এতে শরীরের নানা ক্ষতি হয়। এই ধরনের পানীয় বেশি পরিমাণে খেলে পেটের একাধিক সমস্যা হতে পারে।

এছাড়া অনেকেই চায়ে দুধ ও চিনি মিশিয়ে খান। এটাও খারাপ অভ্যাস। এই কারণে সুগার এবং ওজন, দুইই বাড়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকে সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবার খেতে খেতে চা বা কফি খান। এতে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বরং এর বদলে দুটি খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট বাদে চা-কফি খান। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর