ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব খাদের আদনানের ইসরায়েলি কারাগারে মৃত্যু হয়েছে। ৮৭ দিন ধরে আমরণ অনশন অবস্থায় ইসরায়েলি কারাগারে মারা যান তিনি।
অনশন অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২ মে) এক প্রতিবেদেনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা জানায়, ইসলামি জিহাদ গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে তাকে আটক করেছিল দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ‘অবৈধভাবে’ আটকে রাখায় তিন মাস আগে আমরণ অনশন শুরু করেন আদনান।
এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আদনানকে আটক করা হয়। এর কয়েকদিন পরই অনশন শুরু করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আদনান চিকিৎসা সেবা নেওয়া এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।’
ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস (আইপিএস) জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে আদনানের মৃত্যুর ঘোষণার পর, গাজা উপত্যকা থেকে অন্তত তিনটি রকেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি নিউজ। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
গাজা উপত্যকায় অবস্থিত ইসলামিক জিহাদ এর আগে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে তাদের এই নেতা জেলে মারা গেলে “ভারী মূল্য দিতে হবে”।
এর আগেও এই ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী অনশন করেছিলেন। ২০১৫ সালে আটকের পর টানা ৫৫ দিন কোনো কিছু খাননি তিনি। ওই সময় কথিত ‘প্রশাসনিক আটক’-এর অধীনে তাকে আটক করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ‘প্রশাসনিক আটকের’ অধীনে যাদের আটক করা হয় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ না এনে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা হয়। বিতর্কিত এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।