গরমে নখেরও চাই আলাদা যত্ন। ত্বক, চুলের দিকে কড়া নজর থাকে অনেকেরই। সেখানে কিন্তু অনুসঙ্গ হয়ে যায় নখ। অনেকেরই মনে হতে পারে, নখের আবার আলাদা করে যত্নের প্রয়োজন আছে কী। যেহেতু সৌন্দর্যের একটি অন্যতম অংশ নখ তাই গরমে নখেরও চাই আলাদা যত্ন। চলুন জেনে নিই—
পানি খান বেশি করে
শরীরে পানির ঘাটতির প্রভাব পড়ে নখের ওপরেও। অনেকেরই নখ একটু বড় হতে না হতেই ভেঙে যায়। মূলত শরীরে পানির অভাবেই এমন হয়। বেশি পরিমাণে পানি খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটেও রাখুন এমন কিছু খাবার যাতে পানির পরিমাণ বেশি।
রান্না করা, বাসন ধোয়া, ঘর পরিষ্কারের মতো কাজ করার সময়ে গ্লাভস পরে নিতে পারেন। গ্লাভস পরে কাজ করার ফলে রাসায়নিক উপাদান নখের সংস্পর্শে আসতে পারে না। তাতে সুরক্ষিত থাকে নখ। তাড়াতাড়ি ভেঙেও যায় না।
গ্লাভস পরতে পারেন
রান্না করা, বাসন ধোয়া, হেঁশেল পরিষ্কারের মতো ঘরোয়া কাজ করার সময়ে গ্লাভস পরে নিতে পারেন। গ্লাভস পরে কাজ করার ফলে রাসায়নিক উপাদান নখের সংস্পর্শে আসতে পারে না। তাতে সুরক্ষিত থাকে নখ। তাড়াতাড়ি ভেঙেও যায় না।
রোদে নখ ঢেকে বেরোন
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি কি শুধু ত্বকের ক্ষতি করে, তা কিন্তু নয়। নখেও এর প্রভাব সমান ভাবে পড়ে। অত্যধিক রোদে নখের রং বদলে যেতে পারে। তাই বাইরে বেরোনোর আগে হাতে, আঙুলে এবং নখে ভাল করে সানস্ক্রিন মেখে নিন। সুরক্ষিত থাকবে নখ।
এছাড়াও, নখের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন—
১. লেবু—
লেবুতে থাকা ভিটামিন সি আপনার নখের হলদে ভাব দূর করে এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে তোলে। লেবুর রসের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটু হালকা গরম করে তাতে আপনার নখ চুবিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া হাত ও পায়ের নখে লেবু দিয়ে হালকা ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে ময়্স্চারাইসার লাগিয়ে নিন| নিয়মিত লেবুর ব্যবহার আপনার নখের যে কোনো রকম সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম|
২. নারকেল তেল—
নারকেল তেল নখ কে ময়্স্চারাইস করে,এটি নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি তে সাহায্য করে। এছাড়া নখের যে কোনো ফাংগাল ইনফেকশন সহজেই সরিয়ে তোলে| নারকেল তেল ও মধু হালকা গরম করে হাতে ও পায়ের নখে ভালো করে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন| এতে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে এবং আপনার নখ ভালো থাকে|
৩. বায়োটিন—
বায়োটিন বা ভিটামিন এইচ আমাদের নখের জন্য অত্যন্ত জরুরি, তাই বায়োটিন যুক্ত খাবার যেমন ডিম, শশা, টমেটো, দুধ, আলমন্ড, গাজর, সয়াবিন ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়া উচিত| এছাড়া প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ মত বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।
৪. ডিমের কুসুম ও দুধ—
প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অভাবে আমাদের নখে নানা ধরনের সমস্যা হয়। তাই এই দুটি উপাদান আমাদের নখের যত্ন নিতে সাহায্য করে| এক্ষেত্রে ডিমের কুসুম ও দুধের মিশ্রন অত্যন্ত কার্যকরী| এই দুটি উপাদান মিশিয়ে হাতে ও পায়ের নখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন| পরে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন| এতে নখের হলদে ভাব দূর হয় ও নখ ভালো থাকবে|
৫. পেট্রোলিয়াম জেলি—
পেট্রোলিয়াম জেলি সবথেকে সহজ উপায় আপনার নখ ভালো রাখার| রাতে শুতে যাবার আগে ভালো করে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভেসলিন হাতে ও পায়ের নখে লাগিয়ে নিন| কিছু দিনের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।