বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৯ বিলিয়নের ঘরে নামার একদিন পরই আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরল। আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রিজার্ভ।
বুধবার(১০ মে) সকালের সকাল নাগাদ রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানায়, বিশ্বব্যাংকের ঋণের ৫০৭ মিলিয়ন ডলার পাওয়ায় বাংলাদেশের রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমান ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার।
এরআগে গত রোববার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ে আমদানি বাবদ ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর সোমবারে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে যায়। যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমে বলেন, রিজার্ভের বিষয়টি একটি প্রবাহমান ধারা। কমবে আবার বাড়বে। আগামী জুনের মধ্যে গ্রস রিজার্ভ আবারও ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠবে।
দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে।
জ্বালানি, খাদ্যসহ সব ধরনের পণ্য ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। একই পণ্য বা সেবা আমদানিতে আগের চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা গুনতে হয়। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন থেকে ডলার বিক্রি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
রিজার্ভ বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ। প্রথম দফায় কিস্তি সরবরাহও পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপরও ডলারের রিজার্ভ কমতে থাকে। সর্বশেষ বিশ্বব্যাংকের ঋণের ৫০৭ মিলিয়ন ডলার ছাড় হলে বুধবার সকাল নাগাদ রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।