চলতি বছরের শুরুতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছিল ভারত। এরপর নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে ক্রিকেটেও শীর্ষ স্থানে চলে আসে রোহিত শর্মার দল। এতদিন এই দুটি ফরম্যাটেই শীর্ষে ছিল ভারত।
এবার আইসিসির একদিনের ক্রিকেটের বার্ষিক হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে ভারতকে হটিয়ে শীর্ষে উঠে এলো অস্ট্রেলিয়া। তবে শুধু অজিদের কাছে শীর্ষস্থানই না, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে তিনে নেমে গেছে ভারত। আর দুইয়ে উঠে এসেছে বাবর আজমের দল।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। এতে ১১৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে উঠে এসেছে এই ফরম্যাটে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অজিরা।
কিউইদের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের আগে তালিকার পাঁচে ছিল পাকিস্তান। এরপর সিরিজে চারে চার জয় তুলে নিয়ে ২০০৫ সালে চালু হওয়া র্যাঙ্কিং প্রথায় প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে আসে দলটি। তবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা ব্যবধানেই এই রাজত্ব হারায় দ্য গ্রিন ম্যানরা। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ব্ল্যাক ক্যাপসদের সঙ্গে হেরে তিনে নেমে যায় বাবর-আজমরা। আর দুইয়ে উঠে আসে ভারতীয়রা। এবার বার্ষিক হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে বিরাট-রোহিতদের টপকে দুইয়ে উঠে এসেছে বাবর আজমরা।
তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এই উত্থান পতন চলছিল। বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়েও এর ছাপ মিলল। তবে সেরা তিন দলের মধ্যে রেটিং পার্থক্য খুব একটা বেশি নয়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রেটিং পার্থক্য মাত্র এক। শীর্ষে থাকা অজিদের রেটিং ১১৮, আর ভারতের ১১৫ ও পাকিস্তানের ১১৬।
দ্য গ্রিন ম্যানদের সঙ্গে ওয়ানডেতে ভরাডুবি হলেও শীর্ষ পাঁচেই আছে কিউইরা। ১০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চারে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। অন্যদিকে তালিকার পাঁচ ও ছয়ে থাকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার রেটিং ১০১।
এদিকে বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে আগের জায়গাতেই রয়েছে বাংলাদেশ। ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে তামিম ইকবালের দল। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কাকে টপকে আটে উঠে এসেছে আফগানিস্তান। ৮০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকার নয়ে লঙ্কানরা আর ৭২ রেটিং পয়েন্টে দশে ক্যারিবীয়রা।