সাজ পোজাকের সঙ্গে পারফিউম বা বডি স্প্রে অনেকেরই দৈনন্দিন অনুষঙ্গ। বিশেষ করে এই তীব্র গরমে অনেকে তো পারফিউম ছাড়া বাইরে বের হওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না। তবে সব পারফিউম দীর্ঘ সময় সুগন্ধ ছড়ায় না। কিন্তু এই গরম আবহাওয়ায় পারফিউম যদি বেশিক্ষণ স্থায়ী না হয় তাহলে তো মুশকিল!
পারফিউম ব্যবহার করার রয়েছে নানা নিয়ম। সঠিক নিয়মে পারফিউম ব্যবহার করলে এর সুগন্ধ ছড়াবে অনেকক্ষণ। এটি ব্যবহার করার শরীরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গা আছে, যেগুলোকে বলা হয় পালস পয়েন্ট। সেসব জায়গায় ব্যবহার করলে অনেকক্ষণ ধরে থাকবে সেই সুঘ্রাণ।
তাহলে জেনে নেয়া যাক পারফিউম ব্যবহারের সঠিক উপায়-
১. গোসলের ঠিক পরপরই পারফিউম বা বডি মিস্ট ব্যবহার করবেন। এতে করে সুঘ্রাণ দীর্ঘ সময় থাকে।
২. হাতে অল্প পরিমাণ ভেসলিন নিন। বগলে, গলায় এবং হাতের কবজিতে কিছুটা ভেজলিন মেখে নিন। তারপর সে জায়গায় পারফিউম বা বডি স্প্রে লাগান। এতে আর্দ্র ত্বকে সুগন্ধ আটকে থাকে দীর্ঘক্ষণ।
৩. হাতের কবজিতে, ঘাড়ে, চিবুকের নিচে গলার দুপাশে এবং বুকের দুপাশে পারফিউম ব্যবহার করুন। এতে গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সঙ্গে তীব্রও হবে।
৪. সরাসরি ত্বকে ব্যবহার না করে তুলোর মধ্যে পারফিউম স্প্রে করুন। সেই ভেজা তুলোটি অন্তর্বাসের মধ্যে রাখুন। দেখবেন পারফিউম অনেকক্ষণ স্থায়ী হবে।
৫. কবজি ও কনুইয়ে পারফিউম ব্যবহারের ভালো জায়গা। কারণ দেহের এই জায়গাগুলোর উষ্ণতা অন্যান্য স্থানের চেয়ে বেশি।
৬. পারফিউম ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে সুগন্ধ স্থায়ী হয়। ত্বকের যে অংশে পারফিউম লাগিয়েছেন তার ওপর নন-সেন্টেড ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
৭. কাপড়ের ওপরে সুগন্ধ না ব্যবহার করে শরীরের পালস পয়েন্টগুলো হচ্ছে পারফিউম ব্যবহার করুন। কবজি, কনুই ছাড়াও হাঁটুর পেছনে, পায়ের গোড়ালি, নাভির কাছে, কানের পেছনে পারফিউম লাগালে সেই ঘ্রাণ স্থায়ী হয় বেশ কিছুটা সময়।
৮. পারফিউম দেয়ার সময় বোতল শরীর থেকে ৫-৭ ইঞ্চি দূরত্ব বজায় রাখুন।
৯. পারফিউমের বোতল ফ্রিজে রাখুন। ঠান্ডা পারফিউম শরীরের ছড়িয়ে নিলে বেশিক্ষণ থাকে।