শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। এদিকে বেশির ভাগ স্বাস্থ্যসচেতনরাই ওজন কমাতে ভাতের পরিবর্তে রুটি খাওয়ার অভ্যাস করেন।
যদিও ভাত ও রুটির পুষ্টিগুণে খুব বেশি পার্থক্য নেই। উভয়ই শস্যজাতীয় খাবার। এই দুই খাবারেই থাকে কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ভাতের চেয়ে রুটিতে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ থাকে ও পেট বেশিক্ষণ ভরিয়ে রাখে। সাদা আটায় আবার পুষ্টিগুণ কম থাকে। একটি ছোট ৬ ইঞ্চির গমের রুটিতে থাকে প্রায় ৭১ ক্যালরি, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ০.৪ গ্রাম চর্বি ও ১৫ গ্রাম কার্বস।
তবে ওজন কমাতে কোন আটার রুটি সবচেয়ে ভালো, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক দ্রুত ওজন কমাতে কোন আটার রুটি খাবেন–
বজরা আটা
বাজরা অত্যন্ত পুষ্টিকর ময়দা, যা গমের রুটির পরিবর্তে খেতে পারেন। বাজরার রুটি ওজন কমাতে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে কম জিআই থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এ ছাড়া বাজরা হজমে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল কমায় ও নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার থেকে রক্ষা করে। যদিও বাজরার রুটি গমের রুটির চেয়ে কিছুটা শক্ত হলেও স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশি।
ওটসের আটা
ভারতের সার্টিফাইড ডায়াবেটিস শিক্ষাবিদ, ফিজিওথেরাপিস্ট ও পুষ্টিবিদ ডা. অর্চনা বাত্রার মতে, ওজন কমাতে ওটমিলের ব্যবহার পুরো বিশ্বেই জনপ্রিয়। গ্রহের অন্যতম স্বাস্থ্যকর শস্য হিসেবে বিবেচিত এটি।
ওটস গ্লুটেন-মুক্ত, এতে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গমের আটার চেয়েও অনেক বেশি থাকে। ওজন কমাতে সাহায্য করা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানোসহ ওটসের অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে।
বাজার থেকে আপনি ওটসের আটাও কিনতে পারেন আবার চাইলে রোলড ওটস কিনে ঘরে পিষে বা গ্রাইন্ডারে গুঁড়া করে রুটি তৈরি করেও খেতে পারেন।
বেসনের আটা
বেসনের আটাকে ছোলার ময়দাও বলা হয়। এতে প্রোটিন ও ফাইবার বেশি ও ক্যালরি কম থাকে। ফলে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয় আবার ওজনও কমে।
এ ছাড়া এই আটায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে। রক্তাল্পতার চিকিৎসায় সাহায্য করে বেসনের আটা। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফোলেটও রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বেসনের আটা। এই আটার রুটি নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।