Saturday, November 23, 2024

‘বিদ্যুতের দাবি’তে এফবিসিসিআই’র সংবাদ সম্মেলন সংক্ষিপ্ত করলো লোডশেডিং!

বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজন করা এক সংবাদ সম্মেলন লোডশেডিংয়ের কারণে সংক্ষিপ্তভাবে শেষ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এরমধ্যেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

শনিবার (৩ জুন) বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

পরিচিতি পর্ব শেষে লিখিত বক্তব্য পাঠ শুরু করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই বিকেল চারটার কয়েক মিনিট পর লোডশেডিংয়ে পুরো মিলনায়তন অন্ধকার হয়ে যায়।

কিছুক্ষণের মধ্যেই জেনারেটর চালু হলে বক্তব্য শুরু করেন সভাপতি এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। তিনজন সাংবাদিক প্রশ্ন করার পর সেগুলোর জবাব দিচ্ছিলেন জসিম উদ্দিন। এরমধ্যেই ৪টা ২৫ মিনিটে আবার পুরো মিলনায়তন অন্ধকার হয়ে যায়। জেনারেটর না চলায় এমনটি হচ্ছে বলে জানান এফবিসিসিআইয়ের দু-একজন কর্মকর্তা।

ওই সময় কয়েক মিনিট সংবাদ সম্মেলন বন্ধ ছিল। গরমে নিজের স্যুট খুলে ফেলেন এফবিসিসিআই সভাপতি। সেই অন্ধকারের মধ্যে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে জবাব দেন জসিম উদ্দিন। এরপর আরও কয়েকজন প্রশ্ন করার অনুমতি চাইলেও এমন পরিস্থিতিতে ৪টা ৪০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনের ইতি টানেন তিনি।

এফবিসিসিআই এর আগে যে বাজেট প্রস্তাব করেছিল, সেখানে শিল্পখাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জ্বালানিখাতে ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।

লোডশেডিংয়ের কারণে সংক্ষিপ্ত করা প্রায় ৮০ মিনিটের এই সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা দাবি জানান, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য যেন জ্বালানিখাতে আরও বরাদ্দ বাড়ানো হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “শিল্পগুলো ন্যায্যমূল্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি না পেলে উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।”

তিনি বলেন, “শিল্পখাতকে প্রতি বছর তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। কিন্তু জ্বালানি সংকটে যদি উৎপাদন ব্যাহত হয়, তাহলে কীভাবে সেটা সম্ভব।”

“জ্বালানিখাত ছাড়াও দক্ষতা উন্নয়নে সরকারের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত,” বলে যোগ করেন তিনি।

এফবিসিসিআই আমদানির ওপর সব ধরনের অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং অগ্রিম কর (এটি) বাতিলের দাবি করেছে। কারণ, এআইটি ও এটির রিফান্ড পাওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং এর কারণে ব্যবসার ব্যয় বেড়ে যায়।

 

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর