এই ম্যাচের আগে শক্তি আর সামর্থ্যের বিশাল ফারককে মনে রেখে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূইয়া বলেছিলেন ড্র করতে পারলেই খুশি। কিন্তু সে আর হয়ে উঠলো না। ম্যাচের ৭৮ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখতে পারলেও আর রক্ষা হয়নি। হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ব্যাঙ্গালুরুর শ্রী কান্তেরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। তবে বিরতি থেকে ফিরে ২ গোল আদায় করে নেয় লেবানন। এতে করে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ২-০ গোলে।
ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণ জমাট রেখে খেলে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। লেবানন একটা-দুটো সুযোগ তৈরি করলেও পোস্টের নিচে আনিসুর রহমান ছিলেন দেয়াল হয়ে।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে বাংলাদেশ একটি দারুণ আক্রমণের ভিত গড়ে। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সের ভেতরে প্রবেশ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। সুমনের উদ্দেশে তার ক্রস নেয়ার মুহূর্তে লেবানিজ ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করে কর্নার করেন। বাংলাদেশ প্রথমার্ধে একটি কর্নার পেলেও লেবানিজরা আদায় করেছে চারটিরও বেশি।
এই অর্ধে লেবাননকে গোল করতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ বাংলাদেশ শেষ করেছে সমতার স্বস্তি নিয়ে। তবে বিরতি থেকে ফিরে আর লেবানিজদের আটকে রাখতে পারেনি লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন পরিবর্তন এনে আক্রমণের ধার বাড়ায় লেবানন। বাংলাদেশও পরিবর্তন আনে তিনটি। জনিকে তুলে মুরসালিন এবং জামাল ভূঁইয়ার বদলে মোহাম্মদ হৃদয়কে নামান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। পরের মিনিটে সুমন রেজার বদলে আসেন রবিউল হাসান।
ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে যায় লেবানন। দুই ফুটবলার ঢুকে পড়েন বক্সের মধ্যে। গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না। একজন আরেকজনকে পাস দিয়ে সহজেই জায়গা বের করে নেন। ডরিচের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন হাসান মাতুক।
আর যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে রক্ষণেরই ভুলে আরেকটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। এবারও পুরো ফাঁকা পেয়ে গিয়েছিল লেবানন। ফারানের পাস থেকে খলিল বাদের সহজেই বল জালে জড়ান। ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লেবানন।