করোনা-পরবর্তী বিপিএলে টানা দুই মৌসুম ফরচুন বরিশালে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। তাঁর নেতৃত্বে ২০২২ সালের আসরে ফাইনালও খেলে দলটি। গতবার ভালো দল গড়েও এলিমিনেশন ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ায় বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের একাগ্রতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি অধিনায়ক।
বিপিএলের দশম আসরে তাই বরিশালে খেলতে আগ্রহী নন সাকিব। টাইগার টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ককে নতুন দলে দেখা যাবে। ঢাকা দলের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। এ রকম একটি আভাস পাওয়া গেছে বিসিবি থেকে।
বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি তিন বছর মেয়াদে দেওয়ায় দশম ও একাদশ আসরের জন্য প্রতিটি দল তিনজন করে দেশি ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে। ২০২২ সালের টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে তিন ক্রিকেটারের নাম বিসিবিতে দেওয়ার নিয়ম রাখা হয়েছে। বাস্তবতা হলো কোন কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি পরের দুই মৌসুমে দল গড়বে, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি বোর্ড। যদিও বিসিবি থেকে প্লেয়ার্স ড্রাফটের প্রস্তুতির জন্য গত আসরে খেলা সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মেইল করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হতে পারে এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফট। সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট হলেও টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে জাতীয় নির্বাচনের পর। এ ব্যাপারে গতকাল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়ে দিয়েছি, সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট করব এবং খেলাটা শুরু করতে চাই। আমরা চাই, ১০ জানুয়ারি থেকেই বিপিএল শুরু করতে। এর আগেও যদি করার সুযোগ থাকে এবং জাতীয় নির্বাচন যদি আগে হয়ে যায়, তাহলে আগেও করতে পারি।’
বিপিএল নবম আসরে খেলা ঢাকা দলের মালিকানা পরিবর্তন হতে পারে। এ ছাড়া এবারের আসরে একটি দল বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বিসিবির। রাজশাহী থেকে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান মল্লিক।