খেলোয়াড়ি জীবনে গোল, শিরোপাসহ প্রায় সবক্ষেত্রেই লিওনেল মেসির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এসেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মাঠের খেলায় দুজন এখন দুই প্রান্তে। একজন সৌদি লিগ মাতাচ্ছেন, আরেকজন ব্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিগে।
তবে এখনও দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমেনি। বরং মেসিকে টপকে রীতিমতো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন রোনালদো। ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের তালিকায় রোনালদোর সবার ওপরে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে রোনালদোর এটি ১৭তম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
গত মে মাসে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলেটদের নাম প্রকাশ করে ফোর্বস ম্যাগাজিন। এই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেন রোনালদো। গত এক বছরে ফুটবল থেকে রোনালদোর আয় ছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার এবং মাঠের বাইরে তার আয় দেখানো হয় ৯ কোটি ডলার।
২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো ফোর্বসের সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলেটসের তালিকায় জায়গা পান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ বছরের ১ মে পর্যন্ত করা এ হিসাবে এক বছরে রোনালদোর আয় ছিল ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
এটি ছিল রোনালদোর সব মিলিয়ে তৃতীয়বারের মতো শীর্ষ উপার্জনকারীর তালিকায় শীর্ষে ওঠার ঘটনা। এর ফলে আরেকটি গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডসের স্বীকৃতি পাচ্ছেন সিআরসেভেন।
নতুন এই ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার পথে লিওনেল মেসিকে পেছনে ফেলেছেন রোনালদো। ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের মাঝে শীর্ষস্থান দখল করার পথে মেসির আয় ছিল ১৩ কোটি ডলার। তবে এক বছরের মাথায় সেই তালিকা থেকে নিচে নেমে যেতে হলো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে।
মূলত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণেই গিনেস বুকে আবারও শীর্ষে উঠে গেলেন রোনালদো। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রায় দ্বিগুণ বেতনে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন রোনালদো। বেতন, প্রাইজ মানি এবং বোনাস থেকে আয় ছাড়াও বিভিন্ন স্পনসরশিপ চুক্তি, দূত হিসেবে উপস্থিতিও তার উপার্জন বাড়িয়েছে।
রোনালদো ছাড়া শীর্ষ উপার্জনকারী ১০ খেলোয়াড়দের মধ্যে জায়গা পাওয়া অন্য দুই ফুটবলার হচ্ছেন মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে। তালিকায় দুজনেরই অবস্থান যথাক্রমে ২ ও ৩ নম্বরে। এক বছরে মেসির আয় করেছেন ১৩ কোটি ডলার। মাঠ ও মাঠের বাইরে থেকে তার আয় ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার করে। অন্যদিকে, এমবাপে এক বছরে আয় করেছেন ১২ কোটি ডলার।