আফগানরা শুরুটা যেভাবে করেছিল, তাতে বড় রানে চাপা পড়ার শঙ্কাই ভর করেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে সাকিব আল হাসানের দল ম্যাচে ফিরেছে ভালোভাবেই। আফগানিস্তানকে ১৫৬ রানে অলআউট করেছে। বিশ্বকাপে শুভসূচনা করতে এখন দলের চাই ১৫৭ রান।
২০২৩ বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সপ্তমবারের মতো মাঠে নেমেছে সাকিব-মুশফিকরা। ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। একাদশে আছেন আটজন ব্যাটার। তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয় ও শরিফুল ইসলাম খেলছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ।
ধর্মশালার দ্রুতগতির আউট-ফিল্ডকে কাজে লাগিয়ে রানের চাকা শুরু থেকেই সচল রাখেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ্ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। প্রায় বলের সমানেই তুলছিলেন তারা।
উইকেটের খোঁজে সাত ওভারের মধ্যে নিজেকেসহ চার বোলার আনেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত আফগানদের প্রথম শিকার তার হাতেই। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় ফেরান ইব্রাহিমকে (২২)। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষে ৫০ রান তোলে আফগানরা।
রহমত শাহকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন আরেক ওপেনার গুরবাজ। ১৫তম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের খোঁজে দিনের পঞ্চম বোলার মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনেন সাকিব। তবে পরের ওভারেই দলকে আবারও ব্রেক থ্রু এনে দিলেন নিজেই। অফ স্টাম্পের বাইরে খাটো লেংথে বলে সুইপের চেষ্টা করেন রহমত (১৮)। তবে সেখানে হয় টপ-এজ এবং বল উঠে যায় উল্টো দিকে। সেটি সহজেই তালুবন্দি ক্রেন লিটন দাস। আরেক প্রান্তে ক্রমশই থিতু হতে থাকেন গুরবাজ।
এদিন শুরুতে ঠিক ছন্দে ছিলনা পেসাররা। তবে সে সময় বাংলাদেশের হয়ে চালকের অবস্থানে বসেছেন স্পিনাররা। কেনান পরের উইকেটও যে তাদের দখলেই এবং অর্ধ ইনিংসের ১২ ওভারে কেবল ৩৬ দেয় স্পিনাররা। দলীয় ১১২ রানের মাথায় অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে (১৮) ফেরান মিরাজ।
পরেই ওভারের ম্যাচে ফিরলেন পেসাররা। অন্যদিকে আফগানরা যেন সাজিয়েছে টপ-এজের মেলা। ম্যাচে মুস্তাফিজের প্রথম শিকার, তাও আবার ভয়ঙ্কর হতে থাকা গুরবাজের (৪৭) উইকেট। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে এসে ফিরলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
তবে আফগানদের যেন কাটছেই না টাইগার স্পিনার জুজু। বিশেষ করে সাকিবের। খেলছেন নিজের পঞ্চম ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বয়স ৩৬ পার। তবে বল হাতে ধার যেন একটুও কমেনি বাঁহাতি এই স্পিনারের। দলীয় ১১২ রানে ফেরান নাজিবুল্লাহ জাদরানকে (৫)। তবে এবার আর টপ-এজ নয়, সোজা বোল্ডে। অপর প্রান্তে থাকা মোহাম্মদ নবীও (৬) প্যাভিলিয়নে হাঁটেন পরেই ওভারেই। ৩০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তখন ৬ উইকেটে ১২৯ রান।
বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া-আসার ভেতরে। সাকিব ও মিরাজ নেন তিনটি করে উইকেট। শরিফুল ইসলাম নেন দুটি উইকেট।