ওজন কমাতে শরীর চর্চার পাশাপাশি অনেকেই কিটো ডায়েট করে থাকেন। তারা হাতে গোনা কয়েকটি খাবার ছাড়া সবই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন। এতে হতে পারে বিপরীত। শাক-সবজি ও ফলমূল ছাড়াও ডায়েট লিস্টে রাখতে হবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। দ্রুত ওজন ঝরাতে বেশি করে ডিম খেতে পারেন। শুধু ডিমের সাদা অংশ বা কুসুম না খেয়ে খেতে পারেন সম্পূর্ণ ডিমটিই।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, একটি ডিমে ১৪৩ ক্যালরি এনার্জি থাকে। অন্যান্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১৩৮ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ১ দশমিক ২৯ মিলিগ্রাম জিংক, শূন্য দশমিক ৭২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১২ দশমিক ৫৬ গ্রাম প্রোটিন, ৯ দশমিক ৫১ গ্রাম ফ্যাট।
ওজন কমাতে যেকোনো উপায়ে ডিম খেলেই চলবে না, বরং এর জন্য অনুসরণ করতে হবে কিছু নিয়ম। তেমনই কয়েকটি রেসিপির খোঁজ দিয়েছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম। এবার তাহলে সেসব সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
স্যুপ : সাধারণ আমরা ডিম ভাজা, সিদ্ধ, অমলেট ও মামলেট খেয়ে থাকি। কিন্তু ডিম ও ডালের সংমিশ্রণে তৈরি হতে পারে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর স্যুপ। স্যুপের অন্যান্য উপকরণ হলো পেঁয়াজ, টমেটো, আদা কুচি, হলুদ ও লাল মরিচের গুঁড়ো। ডিমের পাশাপাশি ওজন কমাতে ডালও বেশ উপকারী। ফলে এই খাবারটি খেলে ওজন কমানো কোনো ব্যাপারই নয়।
সালাদ : সকালের নাশতায় রাখতে পারেন ডিমের মজাদার সালাদ। সিদ্ধ ডিম, মেয়োনিজ, সর্ষে, কুচি করে কাটা সেলেরি পাতা, পেঁয়াজ কুচি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই হয়ে যাবে সালাদ। কোনো ঝামেলা ছাড়াই স্বাস্থ্যকর নাশতা সেরে নিতে পারবেন। ফলে ওজন কমবে দ্রুত।
স্টাফড ক্যাপসিকাম : ক্যাপসিকাম যেমন মজাদার, তেমনি ওজন কমাতেও বেশ কার্যকর একটি সবজি। ডিম আর ক্যাপসিকাম দিয়ে তৈরি হতে পারে সুস্বাদু এবং শৌখিন এক খাবার। সিদ্ধ ডিম আর নানা মশলা দিয়ে একটি পুর বানিয়ে নিয়ে ক্যাপসিকামের মধ্যে ভরে নিন। তারপর পুর ভরা ক্যাপসিকাম সিদ্ধ করে নিলেই তৈরি হবে সুস্বাদু এক পদ।