রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পর জানা গেছে ভবনটি ছিল অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ। ২০১৬ সালেই ফায়ার সার্ভিস ভবনটিকে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২০১৬ সালে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেটিকে নিরাপদ করতে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া নির্দেশনার কিছু বাস্তবায়ন হলেও এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ করা হয়েছে বলে মনে হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। তদন্তে বাকি বিষয়গুলো উঠে আসবে।
এদিকে তিন তলা ভবনটির তৃতীয় তলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টার পর রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন ৯টা ১০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে একটু দেরিতে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখন আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ ও ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। যে কারণে ধোঁয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। মার্কেটে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নির্বাপণে সময় লাগবে।
ডিজি বলেন, নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন ভলেন্টিয়ারসহ আমাদের ১২ জন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। আমাদের মনযোগ আগুন নিয়ন্ত্রণের দিকে, জানমালের ক্ষতি যাতে না হয় সেদিকে। এক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে ফায়ার ফাইটাররা আহত হয়েছেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট এখনও ঘটনাস্থলে কাজ করছে। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হওয়া পর্যন্ত কাজ করবে তারা।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। ৫টা ৪৩ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে পর্যায়ক্রমে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ১২ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়া ঘটনাস্থলে সেনা-নৌ-বিমান বাহিনীসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-পুলিশ।