চারদিক ডেস্ক
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ ইনডেক্স-২০২৩ প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স বাসেল অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল)। এতে পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্নেন্স বিশ্বের ১৫২টি দেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ করে এ ইনডেক্স প্রকাশ করে। এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৮ ধাপ উন্নতি হয়েছিল।
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের সূচকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থা হলো ৪৬ নম্বরে। আগের বছর ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪১ নম্বরে। নতুন সূচক মোতাবেক সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে ১. হাইতি, ২. শাদ, ৩. মিয়ানমার, ৪. কঙ্গো। সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড ১৫২তম স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া এই তালিকায় চীনের অবস্থান ২৭, পাকিস্তান ৬১ ও শ্রীলঙ্কা ৬২তম অবস্থানে রয়েছে। আর প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ১১৯ ও যুক্তরাজ্য রয়েছে ১৪০তম স্থানে। ২০২২ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভার্নেন্স গত ১২ বছর ধরে কোনো একটি দেশের যে ৫টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যাসেল এএমএল ইনডেক্স নির্ধারণ করে থাকে সেগুলো হলো- মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন (৬৫ শতাংশ); ঘুষ ও দুর্নীতি (১০ শতাংশ); আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড (১০ শতাংশ); স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা (৫ শতাংশ); এবং আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকি (১০ শতাংশ)।