বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা এমন কথা শুনছি। তারা যদি পর্দার অন্তরালে আলাপ-আলোচনা বা জোটবদ্ধ হয় তাহলে তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে।’
বুধবার দুপুরে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। এর আগে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আনিছুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে কত পার্সেন্ট ভোট পড়ল সেটা বিষয় নয়। নির্বাচন নির্বাচনের গতিতে হবে। সংবিধানে লেখা নেই কত ভোট কাস্ট হতে হবে। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। তাই সময়মতো নির্বাচন হবে। কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। আমরা বলে দিয়েছি যত বড় পার্সেন্ট কাস্ট হবে তাই দিয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশে সব সময়ই উৎসবমুখর। তবে সেটি বেশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। আমরা আগে থেকে আহ্বান করে যাচ্ছি। নির্বাচনে সবাই আসুক। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’
নির্বাচন আয়োজনে চলমান হরতাল ও অবরোধ বা কোনো দুর্যোগের আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো অস্বাভাবিকতা আমরা দেখতে পাইনি। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে।’
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মু. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন ও চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এছাড়া জেলার ও জেলার বাইরের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।