নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে ভোটপূর্ব ও পরবর্তী সহিংসতা, মোট প্রার্থী ও অংশ নেওয়া দলের সংখ্যাসহ সংসদ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনি এক্সপার্ট টিম।
ভোটের পরিবেশ দেখতে ঢাকার বাইরে গেলে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে সে বিষয়েও আলোচনা করেছে ইইউর চার সদস্যের এ দলটি।
বৈঠক শেষে রবিবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
ইইউ দল হরতাল বা অবরোধের বিষয়ে কিছু জানতে চায়নি বলেও জানান তিনি।
রবিবার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ইইউর দলটি নির্বাচনের পরিবেশ, কয়টি দল অংশ নিয়েছে, মোট প্রার্থী কত, নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সহিংসতা, পর্যবেক্ষক সংস্থা কতটি- এমন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চেয়েছে। এছাড়া তারা ঢাকার বাইরে গেলে নিরাপত্তার যে বিষয়টি রয়েছে- তাও আলোচনা করেছেন। ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ঢাকার বাইরে গেলে সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন এবং মন্ত্রণালয় তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘তারা (ইইউ) যা জানতে চেয়েছে আমরা (ইসি) তা জানিয়েছি। আশা করি তারা সন্তুষ্ট।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বৈঠকে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন- ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল অ্যানালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল অ্যানালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট)।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় আসেন ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট টিম। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইইউ। গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানায় ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোট।
চিঠিতে ইইউ জানিয়েছিল, বাংলাদেশে নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ নেই। তাই বাংলাদেশে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না।’
ওই চিঠিতে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর মতো তহবিল না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেছিল ইইউ।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন দেখতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক ইতোমধ্যে আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া ৩৪ দেশ ও চারটি সংস্থার ১১৪ জন পর্যবেক্ষককে ভোট দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।