আচরণবিধি ভঙ্গ করায় প্রার্থীদের একের পর এক শোকজ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না, জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে স্থাপিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এমন অপারগতা প্রকাশ করেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজ মঙ্গলবার থেকে আপিল শুরু হয়েছে, যা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর আপিল শুনানি হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা তখন পুরো কমিশন বসে আপিলগুলো শুনব। শুনে আমরা সিদ্ধান্ত দেব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে সংক্ষুব্ধ যারা আপিল করতে পারেন। আমাদের রিটার্নিং অফিসাররা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে নেন। কিছু কিছু প্রত্যাখ্যান করেন। যারা প্রত্যাখ্যাত হন, যাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়—দুটোর বিরুদ্ধেই কিন্তু আপিল করা যায়। আপিল করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপির করতে পারবেন, যে কেউ।
তিনি বলেন, আপিল করলে ১০টা অঞ্চল ঠিক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলভিত্তিক আপিল দায়ের করা হবে। কর্মকর্তারা চমৎকারভাবে আমি প্রথমবার দেখলাম আপিল আবেদনগুলো গ্রহণ করছেন। এগুলো আপিল শুনানিতে দাখিল করা হবে।
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর নির্বাচন কমিশনে কেন এসেছিলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ওটা আমার বিষয় না।
এ সময় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি একের পর এক শোকজ করছে, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এমন বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি যতটুকু বলার ততটুকু বলেছি। এর বাইরে আমি কিছু বলব না।