নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দু্ই হাজার ২৩২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে শহুরে শিশু শিক্ষার্থীদের জমা এক হাজার ৬০৩ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আর পল্লী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জমার পরিমাণ ৬২৮ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের মোট সঞ্চয়ের প্রায় ৭২ ভাগ শহরের শিশুদের। আর পল্লী অঞ্চরের শিশুদের সঞ্চয় রয়েছে ২৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে শিক্ষার্থদের মোট ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ২১০টি। এর মধ্যে পল্লী অঞ্চলের হিসাবের সংখ্যা ২১ লাখ ৫০ হাজার ১৭৯টি। আর শহরাঞ্চলের হিসাবের সংখ্যা ১৭ লাখ ৫০ হাজার ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩১টি।
তথ্য বলছে, পল্লী অঞ্চলে ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা বেশি হলেও টাকার হার কম।
শিক্ষার্থীদের ব্যাংক মোট ব্যাংক হিসাবের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭২৬। আর মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৪। মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম হলেও ছেলে শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি।
শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে উৎসাহী করতে ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং কর্মসূচির উদ্বোধন করে কেন্ত্রীয় ব্যাংক। দেশে ২০১০ সাল থেকে স্কুল ব্যাংকিং চালু হয়। স্কুল ব্যাংকিংয়ে টার্গেট গ্রুপ ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রী। যাদের কোনো আয়ের উৎস নেই। মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ, বৃত্তির অর্থ এবং উৎসব-পার্বণের উপহার বা নগদ কিছু বাঁচিয়ে জমা রাখার জন্য হিসাব খোলা। এর মাধ্যমে ছেলেবেলা থেকেই ব্যাংক হিসাব খোলার নিয়মকানুন যাতে জানতে, হিসাব পরিচালনায় শিখতে এবং অভ্যাস গড়ে তুলতে পারদর্শী হয়। যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ ব্যাংকে জমা রেখে সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে উঠে।
এতে বেশ সফলতা পায় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
স্কুলপড়ুয়া এসব শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আকর্ষণীয় মুনাফার নানা স্কিম চালু করে। এতে উত্তরোত্তর টাকা জমার পরিমাণ বাড়ে।
করোনা ও মূল্যস্ফীতির কারণে জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়েও টান পড়েছে। চলতি বছরে জুন শেষে শিশুদের ব্যাংকে হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সে সময় ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৮টি।