Thursday, November 21, 2024

খোকা খুকু কই: এল নতুন বই

বই ব্যক্তিকে আনন্দ, সমাজকে আলো, দেশকে দেয় সমৃদ্ধি। শিশু যখন বই সংগ্রহ করে, তখন আনন্দকেই সংগ্রহ করে। পাঠ্যবইয়ের সাথে শিশু বেড়ে ওঠে। শিশুর মনন, বোধ, চিন্তা, কল্পনাশক্তি বিকশিত করতে পাঠ্যবইয়ের ভূমিকা বিশাল, বিরাট ও ব্যাপক। পাঠ্যবই পড়তে পড়তে শিশু শিক্ষার ভূবনে প্রবেশ করে।

শিক্ষা চেতনাকে শাণিত করে, বুদ্ধিকে প্রখর করে, বিবেককে জাগ্রত করে। শিক্ষা আত্মিক মুক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটায়। শিক্ষা মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টির দুয়ার খুলে দেয়। এ দুয়ার আমাদের জ্ঞানের পথ দেখায়। আমরা জানি জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। তাই মুক্তির বিশাল ভূবনে নিজেকে আবিস্কার করতে হলে একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের বিকল্প  নেই। শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত হয়েই সেই জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ সম্ভব। তাই বর্তমান সরকার শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছে।

আর তাই গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান উপকরণ হলো- শিক্ষার্থীবান্ধব মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক। পাঠ্যপুস্তক শিশুকে পড়ার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে। একটি বিষয় জানতে কৌতুহলী করে তোলে। তাই শিশুদের পাঠে মনোযোগী করে তুলতে পাঠ্যপুস্তকের গুরুত্ব অপরিসীম।

নতুন বই শিশুদের কাছে এক পরম প্রাপ্তি। নতুন বই শিশুকে বিমুগ্ধ করে, বিমোহিত করে, আন্দোলিত করে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ শিশুকে বিভোর করে । নতুন বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা শিশুকে কৌতুহলী করে তোলে।

বিগত দিনে এদেশের কোমলমতি শিশুদের হাতে পাঠ্যপুস্তক নামের পুরাতন ও মলিন বই তুলে দেয়া হতো। এতে শিশুরা একদিকে যেমন খুশি হতে পারত না। অন্যদিকে পাঠে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলত। পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়গুলোতে কিছু নতুন বই সরবরাহ শুরু হলে অল্পসংখ্যক শিশু নতুন বই পেলেও অন্যদেরকে পুরাতন বই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হতো। এতে শিশুদের মানসিকতায় তৈরি হতো বৈষম্য, যা তাদের বিদ্যালয় ও পড়াশোনার প্রতি বিমুখ করে তুলতো। বর্তমান সরকার বিষয়টি উপলদ্ধি করে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম অনুসরণে সকল ক্যাটাগরির বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ আকর্ষণীয় নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রদান করে আসছে। বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে দেশের সকল ক্যাটাগরির প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাঠ্য বইয়ের চাহিদা সংগ্রহপূর্বক জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি মুদ্রণ সংস্থা এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণপূর্বক সরাসরি দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের চাহিদা মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ পাঠ্যপুস্তক শিশুদের হাতে পৌঁছানো নিশ্চিত করেন।

শিশুদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক আকর্ষণীয় করার জন্য ২০১২ শিক্ষাবর্ষ হতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক হোয়াইট পেপার, কভার পৃষ্ঠা, হিট থার্মাল পারফেক্ট বাইন্ডিংসহ চার রঙের আকর্ষণীয় মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ হতে পরিমার্জিত যোগ্যতাভিত্তিক কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিকস্তেরর পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। পরিমার্জিত কারিকুলামে বর্তমান বিশ্ব এবং সমসাময়িক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

২০১০ সন থেকে প্রতি বছর বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে একযোগে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে বই বিতরণ উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা:

প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ৩০,৯৬,৯৩৯ (ত্রিশ লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার নয়শত উনচল্লিশ) জন, প্রাথমিক স্তরের ১,৮০,৭০,৫৯৪ (এক কোটি আশি লক্ষ সত্তর হাজার পাঁচশত চুরানব্বই) জন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৪,৪৭৩ (চুরাশি হাভার চারশত তিয়াত্তর) জন। সর্বমোট ২,১২,৫২,০০৬ (দুই কোটি বারো লক্ষ বায়ান্ন হাজার হয়) জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৯,৩৮,০৩,৬০৬ (নয় কোটি আটত্রিশ লক্ষ তিন হাজার ছয়শত ছয়) টি বই বিতরণ করা হবে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের জন্য

শিক্ষাদানের লক্ষ্য হলো শিশুর কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট বা ডেভেলপমেন্ট অব দ্য ফ্যাকাল্টিজ অব মাইন্ডজ, তথা মনের সব প্রকোষ্ঠের সম্মিলিত উন্নতি, যার বিভিন্ন নাম হতে পারে, যেমন চিন্তাশক্তির বিকাশ বা চিন্তাশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি, অন্তর্দৃষ্টি সৃষ্টি, মননের বিকাশ ইত্যাদি। সাইকোলজিতে কগনিটিভ থিওরির সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে মনের সব প্রকোষ্ঠের সম্মিলিত উন্নতি কীভাবে সম্ভব। এ বিষয়ে যাঁরা মৌলিক গবেষণা করেছেন, তাঁদের মধ্যে সিগমুন্ড ফ্রয়েড ও ইমানুয়েল কান্ট অন্যতম। অবদান আছে বার্ট্রান্ড রাসেলের ছাত্র উইটজেনস্টাইনেরও। শিক্ষাদানের কাজটা কীভাবে করলে এই কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট সর্বাধিক হবে, আমাদের তাই-ই করতে হবে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষাদানের মাধ্যম কী হবে, তা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে ফ্রয়েডীয় তত্ত্বের অন্যতম উপাদান হলো ভাষা এবং ভাষা বলতে এখানে মা, শিশুর সঙ্গে যে মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদান করেন। মা যদি শিশুর সঙ্গে তাঁর নিজের ভাষা বাদ দিয়ে, অন্য ভাষায় ভাবের আদান-প্রদানের চেষ্টা করেন, তাহলে শিশুর কগনিটিভ ইম্পেয়ারমেন্ট তথা জ্ঞানগত বৈকল্য দেখা দিতে পারে অর্থাৎ এতে শিশুর মনের সব প্রকোষ্ঠের সম্মিলিত উন্নতি বাধাগ্রস্ত হবে। এই যে তত্ত্ব, এর মধ্যে দ্ব্যর্থক কোনো কিছু নেই এবং এই তত্ত্ব আজ পর্যন্ত কেউ চ্যালেঞ্জ করেনি। অতএব এটা মানতে হবে।

মা শিশুর সঙ্গে যে ভাষায় ভাবের আদান-প্রদান করেন, শিশু সে ভাষায়ই চিন্তা করে; অতএব, বিদ্যালয়েও শিক্ষাদানের মাধ্যম সেই ভাষায় হতে হবে। আর তাই সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের জন্য নিজস্ব বর্ণমালা সম্বলিত মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির পঠন-পাঠন সামগ্রী একং প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই প্রণয়ন ও সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রথম প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে সারাদেশ ৫টি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদরী) শিশুদের মাঝে ৪ ধরণের পঠন-পাঠন সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থী ১টি করে আমার বই ও ১টি করে অনুশীলন খাতা পেয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (চাকমা, মারমা, ত্রিপুর, গারো ও সাদরী) শিশুদের মাঝে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯টি জেলার পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। জেলাগুলো হলো। (১) বান্দরবান ( ২) রাঙ্গামাটি (৩) খাগড়াছড়ি (৪) চট্টগ্রাম (৫) হবিগঞ্জ (৬) মৌলভীবাজার (৭) শেরপুর (৮) নেত্রকোণা (৯) ময়মনসিংহ (১০) টাংগাইল (১১) নাটোর ( ১২) সিরাজগঞ্জ (১৩) দিনাজপুর (১৪) জয়পুরহাট (১৫) চাঁদপুর (১৬) ফেনী (১৭) সুনামগঞ্জ (১৮) চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং (১৯) নওগাঁ।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার পুরোনো ধারার শিক্ষার খোলনলচে পাল্টে এমন এক নতুন শিক্ষার বীজ বপনের কাজে হাত দিয়েছে, যা শিক্ষার্থীর মস্তিস্ক ও পিঠ থেকে মুখস্থবিদ্যার বোঝা ঝেড়ে ফলে তাদের কৌতুহল, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, গবেষণা ও ভাবনার শক্তিকে জাগাবে ও নেতৃত্বের গুনাবলী তৈরিতে উপযোগী করে তুলবে। শিক্ষক কেন্দ্রিক ব্যবস্থা থেকে শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষায় উত্তরণে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে। এর ফলে বয়সোচিত যোগ্যতা এবং সরাসরি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিশু তার জানার পরিধি বাড়াবে, আপন ভূবন সাজাবে। সে নিজেই নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে, তা মোকাবেলা করে অভীষ্ট গন্তব্য পৌঁছাবে।

 

ক্র.নং শিক্ষাবর্ষ এনসিটিবি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিপত্র অনুযায়ী মুদ্রিত ও বিতরণকৃত পাঠ্যপুস্তকের মোট সংখ্যা মোট
প্রাথমিক স্তর প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
২০০৯ ৪৮৫৩১৭৪৯ ৪৮৫৩১৭৪৯
২০১০ ৭৮০১০৯০৭ ৭৮০১০৯০৭
২০১১ ১০৪৮০৬৪৭৫ ১০৪৮০৬৪৭৫
২০১২ ৮০৯১৪২২৫ ৮০৯১৪২২৫
২০১৩ ১০৭৮৬২৭১৪ ১০৭৮৬২৭১৪
২০১৪ ১১৬০১৭৩৪৭ ৮২৪৩১৭০ ১২৪২৬০৫১৭
২০১৫ ১১৪৩১৩৬৬৩ ৬৭০৩৯৫২ ১২১০১৭৬১৫
২০১৬ ১০৮৭১৯৯৯৭ ৬৫৭৬১০৬ ১১৫২৯৬১০৩
২০১৭ ১০৫৩২৮৯৫৬ ৭২৫২৩৩২ ৪৯২৯২ ১১২৬৩০৫৮০
১০ ২০১৮ ১০৩৬২৫৪৮০ ৬৮২৩০৬৬ ১৪৯২৭৬ ১১০৫৯৭৮২২
১১ ২০১৯ ৯৮৮৯৯৮২৪ ৬৮৫৬০২০ ২৭৭০৬৮ ১০৬০৩২৯১২
১২ ২০২০ ৯৮৫০৫৪৮০ ৬৬৭৫২৭৬ ২৩০১০৩ ১০৫৪১০৮৫৯
১৩ ২০২১ ৯৫৬৯০০৪৫ ৬৬৭৯২২২ ২১৩২৮৮ ১০২৫৮২৫৫৫
১৪ ২০২২ ৯৩০৩৪০৩০ ৬৬০৫৪৮০ ২১৯৩৬৪ ৯৯৮৫৮৮৭৪
১৫ ২০২৩ ৮৯৩৩৮২৭৮ ৬৩২৯০৮৪ ২১২১৭৭ ৯৫৮৭৯৫৩৯
১৬ ২০২৪ ৮৭৪০৪৬৯৭ ৬১৯৩৮৭৮ ২০৫০৩১ ৯৩৮০৩৬০৬
  সর্বমোট ১৫৩১০০৩৮৬৭ ৭৪৯৩৭৫৮৬ ১৫৫৫৫৯৯ ১৬০৭৪৯৭০৫২

 

বই বিতরণ কার্যক্রম এখন বর্ণিল বই উৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশ-বিদেশে এ উৎসবের সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে বই উৎসব নজর কেড়েছে। বাংলাদেশের অসামান্য এ সাফল্য আলোচিত ও আলোড়িত করেছে বিশ্ববাসীকে।

বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে হাটছেই না কেবল, বিশ্ব দরবারে ইতোমধ্যেই ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরোনোর পূর্বেই ‘স্বপ্ল উন্নত’ হতে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে উঠে এসেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় প্রতিটি শিশুর চেতনায় ও প্রেরণায় এমনভাবে প্রোথিত করতে হবে,যাতে শিশু প্রিয় স্বদেশকে হৃদয় দিয়ে, আবেগ দিয়ে, অনুভব করবে এবং তার পূর্বসূরীর তার জন্য যে একটি স্বাধীন স্বদেশ উপহার দিয়ে গেছে, সেই স্বদেশকে সমৃদ্ধির সোপানে নিয়ে যেতে চেষ্টার সিন্ধু ঢেলে দেবে। নতুন বই হবে তার স্বপ্ন সাজানোর প্রথম প্রাঙ্গণ।

মাহবুবুর রহমান তুহিন, সিনিয়র তথ্য অফিসার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর