Wednesday, November 27, 2024

মানুষের হৃদয় জয় করে ভোট পাই, চুরির প্রয়োজন হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই, চুরির প্রয়োজন হয় না। তারা (জিয়া-এরশাদ) ভোট চুরি করে, এটা আমার কথা না। হাইকোর্টের রায় আছে— জিয়ার ক্ষমতা দখল অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ।

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরে (২০২৪) পদার্পণ করলাম। সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধুর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্রহাতে নিয়ে। মানুষের ভাগ্য গড়েনি। এই দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে দেশের মানুষ তাজা রক্ত দিয়েছিল, সেটিও নিষিদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি, আমার ফেলে রাখা আপনজনদের পাইনি। পেয়েছি, হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাবো, বাবা-মা ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি। একটা প্রত্যয় ছিল, সবার মুখে খাদ্য তুলে দেবো। কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। সবাইকে উন্নত জীবন দেবো। ক্ষমতায় এসে সেই কাজ শুরুও করেছিলাম। কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

তিনি বলেন, তবে দুর্নীতির কারণে ২০০৮ সালে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা ২৩৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছি। ২০১৩-১৪ সালে আগুনে মানুষ পুড়িয়েছে, কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তারেক জিয়া দেয় নমিনেশন, গুলশান থেকে ফখরুল দেয় নমিনেশন, পল্টন অফিস থেকে রিজভী দেয়। ওইভাবে নমিনেশন বিক্রির ফলে তাদের নির্বাচন ভেস্তে যায়। দোষ দেয় আমাদের ওপর।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অথচ আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা অত্যাচার সয়েছে, জেল খেটেছে। এখন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে।

এর আগে বিকেল সোয়া ৩টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কলাবাগান মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। এসময় স্লোগান স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশের পতাকা হাতে স্লোগানের জবাব দেন তিনি। পাশাপাশি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান পৃথকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর চলে বক্তব্যের পালা। এতে ঢাকার আসনগুলোর দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর