নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোট শুরুর প্রথম প্রহর থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এ বছর নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের আগ্রহ ছিল শুরু থেকেই। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর দুই শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য অনুমতি দেয় নির্বাচন কমিশন। তারা দেশে অবস্থান করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তেজগাঁও কলেজের সামনে ঘুরে গেছেন জামাইকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওরেট রুইজ গুলডুইং-এর নেতৃত্ব কমনওয়েলথ এর পর্যবেক্ষক দলের তিনজন সদস্য। তারা কলেজ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে মিরপুরে আরেকটি কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তারা খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করছেন।
এর আগে কমনওয়েলথ এর পর্যবেক্ষকরা ঢাকা কলেজের কেন্দ্র পরিদর্শন করে তেজগাঁও আসেন। তারও কিছুক্ষণ আগে রাজধানীর বেইলি রোডে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রটি পর্যবেক্ষণ করেন পর্যবেক্ষক দলের পাঁচ সদস্য।
এদিকে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান চীন, মরিশাস ও উজবেকিস্তানের পর্যবেক্ষক দল।
এছাড়া টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ভারতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল। এই পর্যবেক্ষক দলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র শর্মা। তিনি ইলেকশন কমিশন অব ইন্ডিয়ার সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১৮৬ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিককে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের মধ্যে ১২৭ জন পর্যবেক্ষক আর ৫৯ জন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কর্মী। এছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে ইসি। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।
আজ ভোট হচ্ছে ২৯৯ আসনে। গত ২৯ ডিসেম্বর নওগাঁ-২ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনের ভোট বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই আসনে পরবর্তীতে ভোট হবে। সারা দেশের ৪২ হাজার ১০৩টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ আছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে ভোটে লড়ছেন মোট ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী; বাকি ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ প্রার্থী আছেন ‘সোনালি আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপির। এ ছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবারের নির্বাচনে।