আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা সলগ্ন রাখাইন অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের দাবি করেছে মিয়ানমারের একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া শহর দখলের দাবি করেছে ওই অঞ্চলের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
মোসাদের ‘স্পাই হেডকোয়ার্টারে’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের
এএ’র বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এএ’র মুখপাত্র খাইন থু খা গতকাল রবিবার রাতে জানান, তারা কালাদান নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর শহর পালেতওয়া জয় করেছে। শহরটি প্রতিবেশী দেশগুলোর (বাংলাদেশ ও ভারত) সঙ্গে বাণিজ্যের চাবিকাঠি।
খাইন থু খা বলেন, ‘সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
তিনি আরও জানান, তারা শিগগিরই ওই এলাকার প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেবে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রয়টার্স স্বাধীনভাবে এএ’র দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের আরেকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী চীন সীমান্তে উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের লাউক্কাই শহর দখল করে।
গত সপ্তাহে জান্তা তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) নামের ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
চীনের মধ্যস্থতায় দেশটির কুনমিং শহরে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু রবিবার বিদ্রোহী জোট জানায়, জান্তা বাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে এবং শান রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে হামলা চালিয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা গোষ্ঠী একাধিক সশস্ত্রী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়ছে। দেশটির গণতন্ত্রপন্থী সরকার সমর্থিত জান্তাবিরোধী মিত্র গোষ্ঠীগুলো বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকি এবং শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
তবে, ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পর থেকে এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জান্তা সরকার।