মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে বায়ুদূষণে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। কয়েক দিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা উন্নতির দিকে। যদিও এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থাতেই রয়েছে।
বেশকিছু দিন ধরেই নির্মাণকাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে ঢাকা শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
তবে গত দুই দিন ঢাকায় বৃষ্টি হওয়ায় রোববার (২৩ এপ্রিল) বাতাসের মানের বেশ উন্নতি হয়েছে। এদিন বায়ু মানের তালিকায় নবম স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা, যা আগের দিন ছিল অষ্টম অবস্থানে।
রোববার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১১৭। তবে মানের উন্নতি হলেও বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকরই।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। ১৮৫ স্কোর নিয়ে তালিকায় শীর্ষে
আছে নেপালের কাঠমান্ডু শহর। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই ১৬০ এবং ভিয়েতনামের হ্যানয় ১৫৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
অন্যদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।