ঈদের ছুটি চলাকালীন ঢাকায় বায়ুদূষণ কিছুটা কমলেও, ছুটি শেষ হতে না হতেই আবারও ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে রাজধানীর বাতাস। বায়ুমানে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বৃহস্পতিবারও (২৭ এপ্রিল) ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর দূষণের শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকার (একিউআই) স্কোর ছিল ১৫৬, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’।
একই সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুরে। যেখানে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৭৬, যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার সকালের তথ্যানুযায়ী, আদিন দূষণের শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। আইকিউ এয়ারের সূচকে আজ দিল্লির স্কোর ২১৬। দিল্লির পরের স্থানে ১৬১ স্কোর নিয়ে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা। ভারতের অরেক শহর মুম্বাই রয়েছে চতুর্থ স্থানে, যার স্কোর ১৫৪ এবং ১৫৩ স্কোর নিয়ে ইরাকের বাগদাদ আছে পঞ্চম স্থানে।
এছাড়া দূষণের শীর্ষ দশে থাকা অন্য শহরগুলো হলো- মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, চীনের বেইজিং ও সাংহাই।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি, বছরের এ চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।