অন্ত্রকে বলা হয় পেটের মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক ছাড়া যেমন মানবদেহ অচল। তেমনই অন্ত্র ঠিক না থাকলে ঠিকঠাক হজম সম্ভব নয়। তাই বিশেষ করে অন্ত্রের খেয়াল রাখা জরুরি। অন্ত্র ভালো না থাকলে শরীরে নানান জটিল রোগ বাসা বাধতে শুরু করে। অন্ত্রের সমস্যা বদহজম, কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তবে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেই সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
প্রচুর শাক-সবজি খান
অন্ত্রের সমস্যা এড়াতে শাক-সবজির ওপর ভরসা রাখতে পারেন। এছাড়া রোজ একটি করে ফল ও বাদাম ডায়েটে রাখুন।
কলা
কলা অন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। যা হজমেও কাজে আসে। এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন। যা পরিপাকক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ফাইবার জাতীয় খাবার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ক্ষেত্রে পেঁয়াজ, রসুন, বাঁধাকপি, সমানভাবে উপযোগী।
শস্যজাতীয় খাবার
ব্রাউন রাইস, ওটস, লাল আটা, ইত্যাদি শস্যজাতীয় খাবার অন্ত্রকে ভালো রাখে। শস্যে থাকা ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ওষধি হিসেবে কাজ করে।
ফার্মেন্টেড ফুড
দই, চিজ, ভিনিগার, পাউরুটি ফার্মেন্টেড ফুড। এই খাবারগুলিতে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা কিনা অন্ত্রের জন্য উপকারী। অন্ত্রকে ভালো রাখতে টক দই চমৎকার কাজ করে। তবে দুধ থেকে তৈরি হওয়া দই না খাওয়াই ভালো।
এগুলি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ দূর হতে পারে।
কোন কোন খাবারগুলি এড়িয়ে যাবেন
অতিরিক্ত তেল, চর্বি জাতীয় খাবার এক্ষেত্রে না খাওয়াই ভালো। বেশি তেলযুক্ত খাবার অন্ত্রে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে দিতে পারে। বাড়তে পারে হজমের সমস্যা।
এছাড়া মিষ্টি, মশলাযুক্ত খাবার, সোডা, নুডলস অন্ত্রের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যেস যাদের, তাদের এখনই অভ্যেস বদলে ফেলা জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ে রাতের খাওয়া সেরে ফেলা দরকার।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অন্ত্রের সমস্যা জ্বর, সর্দি, কাশি-সহ নানান রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। তাই, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অন্ত্রের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন।