দেশের তাপমাত্রার পারদ কমছেই না। এখনো দেশের অনেক জেলায় চলছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে অতীষ্ঠ জনজীবন। গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে অস্বস্তি, ক্লান্তির মত একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তাই শরীর হাইড্রেটেড রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।
এছাড়া প্রতি বেলার খাবারে শর্করা, প্রোটিন, স্নেহ, ভিটামিন, মিনারেল ও পানি রাখতে হবে। এতে করে শরীরের ক্লান্তি কমে আসবে। গরমে মৌসুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ হবে। সেই সঙ্গে দেহে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
ফলমূল: গরমে প্রচুর ফলের রস খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে মৌসুমী ফলের রস এবং ফল দিয়ে বানানো শরবত আপনাকে দিতে পারে সতেজতা। একইসঙ্গে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদাও পূরণ করে। খেতে পারেন খেজুর। এ ধরনের খাবার শরীরে প্রয়োজনীয় খাদ্য আঁশ জোগায়।
কাঁঠাল: এতে যে পরিমাণ ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আছে, তা উচ্চ রক্তচাপ, আলসার, ক্যানসার ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। পুষ্টিসমৃদ্ধ এই ফল প্রতিদিন যদি কোনো গর্ভবতী ২০০ গ্রাম খান, তাহলে তার ও গর্ভস্থ শিশুর সব পুষ্টির অভাব দূর হবে।
আম: এতে প্রায় ২৫ রকমের ক্যারাটিনয়েড (রঞ্জক) উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে সবল রাখতে সাহায্য করে।
তরমুজ: এই ফলে ৯২% পানি থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় দেহে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বাঙ্গি: এতে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। কিশোরী, গর্ভবতীদের জন্য খুবই ভালো। রক্তস্বল্পতা দূর করে। প্রচুর পানি থাকায় দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
কোমল পানীয়: লেবুর শরবত, ডাবের পানি, লাচ্ছি, তোকমার শরবত, ইসুবগুলের ভুসির শরবত ও তাজা ফলের রসের মতো বেশ কয়েক ধরনের পানীয় খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। এটি আপনার শরীরের ফাইবারের চাহিদা পূর্ণ করবে।
ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। খাবার হতে হবে নরম; সহজপাচ্য; কম তেল, চর্বি ও মসলাযুক্ত।