আমলকী আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী । এটি ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস। পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রেও আমলকী কার্যকরী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমলকী বেশ ভালো। নিয়মিত আমলকীর চা খেতে পারলে ডায়াবেটিসসহ আরও অনেক রোগ দূরে থাকবে। চলুন জেনে নেয়া যাক এই ভেষজ চায়ের উপকারিতা-
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এই ফল। এতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত আমলকী খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ক্রোমিয়ামের একটি উৎস হলো আমলকী। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখে।
হার্ট ভালো রাখে: আমলকী রক্ত সঞ্চালন এবং কোলেস্টেরলের লেভেল ঠিক রাখে, যা হৃদরোগ এড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও, রক্ত জমাট বাঁধে না, যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
ইনফেকশন ও ব্যাকটেরিয়া: ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে আমলকী। এটি শরীরে উপস্থিত টক্সিন বের করার ক্ষেত্রে ভীষণ কার্যকরী।
সর্দি-কাশি দূর করে: শীতের সময়ে সর্দি-কাশির সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা দেয়। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে আমলকী। এটি ভাইরাল ফিভারের ক্ষেত্রেও উপকারী। সকালে খালি পেটে পান করুন আমলকী চা। উপকার মিলবে দ্রুত।
চোখ ভালো রাখে: নিয়মিত আমলকীর চা খেলে চোখের ছানি, বর্ণান্ধতা, ড্রাই আই সিন্ড্রোম ইত্যাদি সমস্যা দূরে থাকে। চোখ ভালো রাখতে তাই আমলকীর চা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আমলকীর চা তৈরি: আমলকীর চা তৈরির জন্য, একটি প্যানে এক বা দুই কাপ পানি নিন। পানি ফুটতে শুরু করলে তাতে ১ চামচ আমলকীর গুঁড়া এবং কুচোনো আদা দিন। এটি ছাড়াও, আপনি পুদিনার ২-৩ টি পাতাও দিতে পারেন। এই সমস্ত উপকরণ দিয়ে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপরে নামিয়ে নিন। এবার এটি ছেঁকে নিয়ে চায়ের মতো পান করুন।