কিছুদিন আগেই দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ন্যান্সির বাসা থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জানা গেল—নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরীর বাসায় থেকেও অ্যাওয়ার্ড চুরি হয়েছে।
বুধবার (৩ মে) গায়ক রবি চৌধুরী নিজেই জানিয়েছেন এ তথ্য। ক্যারিয়ারের কিছু পুরস্কার বাসা থেকে হারিয়ে ক্ষুব্ধ হলেও আইনি কোনো ব্যবস্থা নেননি এ শিল্পী।
সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন তিনি। লেখেন, ‘আমার এই বাসাটা ফুল ফার্নিশ। বিশ্বাস করে একজনকে ভাড়া দিয়েছিলাম। তিনি আমার বিশ্বস্ত মানুষ ছিলেন। আমার সারা জীবনের পুরুস্কারগুলো যা দেখছেন, ৩৫ বছরের ক্যারিয়ারের। সবগুলো অ্যাওয়ার্ড। তার কাজের লোকরা পিতলগুলো বিক্রি করে দিয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘তারা এসে কুরআন শরীফ ধরে বলেছেন, আমরা বিক্রি করিনি। তার মানে, কিয়ামত সামনে আর বেশি দেরি নাই। আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার আমার শ্রোতারা। বেঁচে আছি এটাই শুকরিয়া আল্লাহর কাছে। মানুষকে আর বিশ্বাস করবেন না।’
এ ব্যাপারে একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমার দুটো বাসা। একটি ওয়ারিতে, আরেকটি বাড্ডায়। বাড্ডার বাসাটি পরিচিত একজনের কাছে ভাড়া দিয়েছি। সেখানেই রাখা ছিল পুরস্কারগুলো। কিন্তু ওই বাসার অ্যাওয়ার্ডগুলো চুরি হয়েছে। অ্যাওয়ার্ডগুলো যখন খুঁজতে গিয়ে পেলাম না, তখন দারোয়ান জানায়, সে নাকি দেখেছে কাজের লোকরা অ্যাওয়ার্ডগুলো ভেঙে তামা ও পিতল বিক্রি করেছে।
আইনি পদক্ষেপ না নেয়ার কারণ হিসেবে গায়ক বলেন, কাজের লোকদের জিজ্ঞাসা করার পর তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এমনকি তারা পবিত্র কুরআন শরীফ হাতে নিয়েও চুরির কথা অস্বীকার করেছে। কিছুদিন আগের ঘটনা। এ কারণে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেইনি। আর এ ঘটনার পরই ফ্ল্যাটটি খালি করে ফেলি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গায়ক ন্যান্সির বাসা থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও অলঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়। মামলায় গৃহকর্মী মোছা. তাহমিনা এবং তার স্বামী শাকিলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।