বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। গত কয়েক মাস ধরে তার ও স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির দাম্পত্য কলহ চলছে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ করে যাচ্ছেন একে অপরকে। তাদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি চলেছে বিস্তর। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দুজনই।
অভিনেতা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন আলিয়া। যদিও সব ভুলে এখন কাজে মন দিতে চাইছেন অভিনেতা। সামনেই মু্ক্তি পেতে চলেছে তার অভিনীত ছবি ‘জাগিরা সারা রা রা’। এর মাঝেই একেবারে উল্টো সুর আলিয়ার কণ্ঠে। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নওয়াজ ও তার পরিবারের কাছে খোলা চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন তিনি।
আলিয়া নওয়াজের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ এনেছিলেন এখন তার একেবারে উল্টো সুর। নওয়াজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নিতে চান। সব ভুলে শুরু করতে চান স্বাভাবিক জীবন। আলিয়ার খোলা চিঠিতে লেখেন, হ্যালো নওয়াজ, এই চিঠি তোমার জন্য। আমি অনেক জায়গায় শুনেছি আর পড়েছি যে জীবন মানে এগিয়ে যাওয়া। কয়েক মাস ধরে আমাদের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে, আমি সে সব কিছু ভুলে যেতে চাই। আর ঈশ্বরের প্রতি আস্থা রেখে আমি নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চায় আর তোমার সব অন্যায়কে ক্ষমা করে জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর আমি জীবনকে সুন্দর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করব। অতীতের জালে ফেঁসে থাকা, কোনো চক্রব্যূহে থাকার চেয়ে কম কিছু নয়। আর তাই অতীতকে পেছনে ফেলে, এই ভুল দ্বিতীয়বার না করার অঙ্গীকার করছি। আমাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেওয়ার শপথ নিচ্ছি আমি।
তিনি আরও লেখেন, তুমি বাবা হিসেবে অত্যন্ত ভাল। আশা করি, ভবিষ্যতে তুমি তোমার সব কর্তব্য ভালভাবে পালন করবে। আর তাদের একটা ভাল ও সুন্দর ভবিষ্যৎ দেওয়ার সব রকম প্রয়াস করবে। আমার এই যুদ্ধ শুধু আমার সন্তানদের জন্য ছিল। ওদের মুখে হাসি দেখে আমার সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গেছে। আর রাগ গলে পানি হয়ে গেছে। আমরা ভাল স্বামী-স্ত্রী হয়ে উঠতে পারিনি, আশা করি আমরা ভাল মা–বাবা হয়ে উঠব। এই জীবনে যা কিছু ঘটেছে, এ কারণে একে অপরকে যেন ক্ষমা করে দিই। জীবনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি।
অভিনেতার স্ত্রীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখা এমন পোস্ট দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে। এমনকি অভিনেতার ভাই শামাশ সিদ্দিকি তো লিখেই বসেন, তোমার প্রোফাইল কি হ্যাক হয়েছে।
অন্যদিকে এই পোস্টটি করার পর থেকে আলিয়া সিদ্দিকি অ্যাকাউন্টের হদিসি মিলছে না ইনস্টাগ্রামে। আলিয়া নিজে এই খোলা চিঠি লিখেছেন কিনা তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।